০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারা’গার থেকে ছিনিয়ে আনা কে এই লামিছানে

নেপালের ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির সভাপতি রবি লামিছানেকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছে বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নেতা এবং লামিছানের সহযোগী দীপক বোহারা বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রবি লামিছানে এখন নিরাপদে আছেন।

লামিছানেকে বিক্ষোভকারীরা টেনে বের করে আনার সময় কিছু আরএসভিপি কর্মী ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করেন।

একটি ভিডিওতে, লামিছানেকে ঘিরে পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানায় উপস্থিত কর্মীসমর্থকরা।

এর আগে, জেন-জিদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করে রয়টার্স জানায়, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করলেন। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে।

পদত্যাগের আগে তিনি দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং দেশ থেকে নিরাপদে বের হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। গুঞ্জন উঠেছে তিনি সম্ভবত পালিয়ে দুবাই অথবা ভারতে আশ্রয় নেবেন।

সেনাবাহিনীর সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

অফিশিয়াল সূত্রে জানা গেছে, অলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দেশের ক্রমাবনত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এর জবাবে জেনারেল সিগদেল বলেন, সেনাবাহিনী কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করে দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে, যদি প্রধানমন্ত্রী অলি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

সেনা সূত্র আরও জানায়, অলি পদত্যাগ করলেই সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলেও একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘাত।

এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নাম দেন বিক্ষোভকারীরা।

ট্যাগ

মাসের এই ১ দিন মেয়েদের ;যৌ*ন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, রাজি হবে যেকোনো মেয়ে

কারা’গার থেকে ছিনিয়ে আনা কে এই লামিছানে

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির সভাপতি রবি লামিছানেকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছে বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নেতা এবং লামিছানের সহযোগী দীপক বোহারা বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রবি লামিছানে এখন নিরাপদে আছেন।

লামিছানেকে বিক্ষোভকারীরা টেনে বের করে আনার সময় কিছু আরএসভিপি কর্মী ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করেন।

একটি ভিডিওতে, লামিছানেকে ঘিরে পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানায় উপস্থিত কর্মীসমর্থকরা।

এর আগে, জেন-জিদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করে রয়টার্স জানায়, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করলেন। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে।

পদত্যাগের আগে তিনি দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং দেশ থেকে নিরাপদে বের হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। গুঞ্জন উঠেছে তিনি সম্ভবত পালিয়ে দুবাই অথবা ভারতে আশ্রয় নেবেন।

সেনাবাহিনীর সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

অফিশিয়াল সূত্রে জানা গেছে, অলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দেশের ক্রমাবনত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এর জবাবে জেনারেল সিগদেল বলেন, সেনাবাহিনী কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করে দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে, যদি প্রধানমন্ত্রী অলি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

সেনা সূত্র আরও জানায়, অলি পদত্যাগ করলেই সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলেও একপর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘাত।

এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভল্যুশন’ নাম দেন বিক্ষোভকারীরা।