০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষোভকারীদের আ’গুন

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে চলমান জেনারেশন জি আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধনগধিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর দিয়েছে বিবিসি।

কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় জারি থাকা কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামে। তারা শুধু দেউবার বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে।

নেপালের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল এবং নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। সদ্য পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।

মূলত সরকারের সিদ্ধান্তে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্সসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করার পর থেকেই আন্দোলনের সূচনা হয়। যদিও টিকটকসহ পাঁচটি অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে সোমবার রাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, আগের দিন পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়।

শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ নয়, রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং দুর্নীতির অভিযোগও আন্দোলনের দাবিতে যুক্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগও দাবি করছে।

বিবিসি জানায়, শহরের কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি থাকলেও বিক্ষোভকারীরা শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যেতে হচ্ছে।

ট্যাগ

মাসের এই ১ দিন মেয়েদের ;যৌ*ন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, রাজি হবে যেকোনো মেয়ে

নেপালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষোভকারীদের আ’গুন

আপডেট সময়ঃ ০৫:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে চলমান জেনারেশন জি আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধনগধিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর দিয়েছে বিবিসি।

কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় জারি থাকা কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামে। তারা শুধু দেউবার বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে।

নেপালের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেল এবং নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। সদ্য পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।

মূলত সরকারের সিদ্ধান্তে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও এক্সসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করার পর থেকেই আন্দোলনের সূচনা হয়। যদিও টিকটকসহ পাঁচটি অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে সোমবার রাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, আগের দিন পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়।

শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ নয়, রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং দুর্নীতির অভিযোগও আন্দোলনের দাবিতে যুক্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগও দাবি করছে।

বিবিসি জানায়, শহরের কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি থাকলেও বিক্ষোভকারীরা শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যেতে হচ্ছে।