১১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীরবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৬টি খাবার! সতর্ক করলেন হার্ভার্ডের চিকিৎসক

ক্যানসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। জেনেটিক কারণ বা পরিবেশগত প্রভাবের পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের খাবারও অজান্তেই এই ভয়াবহ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসা এক ভিডিওতে হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. সৌরভ শেঠি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ছয় ধরনের খাবারের সঙ্গে ক্যানসারের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে।
তবে আশার খবর হলো, এগুলো এড়িয়ে চলা বা স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিলে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেই ছয়টি খাবার ও তাদের প্রভাব।
প্রথমেই রয়েছে প্রসেসড মাংস। হটডগ, সসেজ কিংবা ডেলি-মিট প্রোটিনের সহজ উৎস হলেও এগুলো আসলে নীরব ঘাতক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রসেসড মাংসকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। নাইট্রেট ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক পদার্থ অন্ত্রের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যানসারের পরিবেশ তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, চিনি মেশানো পানীয়। ফিজি ড্রিঙ্ক বা ফ্লেভারড বেভারেজ অনেকেরই দৈনন্দিন অভ্যাস, কিন্তু এগুলো শুধু ওজনই বাড়ায় না, বরং রক্তে শর্করা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে ক্যানসার কোষকে সক্রিয় করে তোলে। স্তন, অগ্ন্যাশয় ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
তৃতীয় বিপদ ডিপ-ফ্রাই খাবার। পুনঃব্যবহৃত তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা সমুচার মতো খাবারে তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড নামের বিষাক্ত যৌগ। এটি শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়, ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চতুর্থত, অতিরিক্ত পোড়া বা গ্রিলড মাংস। ধোঁয়াটে স্বাদের আড়ালে এই মাংসে তৈরি হয় HCA ও PAH নামক ক্ষতিকর যৌগ, যা ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যানসারের সূচনা ঘটায়।
অ্যালকোহলও ক্যানসারের অন্যতম অনুঘটক। অনেকের ধারণা অল্প পরিমাণ ওয়াইন শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু ড. শেঠি জানাচ্ছেন, সামান্য অ্যালকোহলও স্তন ও লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায় এবং ডিএনএ মেরামতের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
সবশেষে, অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার। ইনস্ট্যান্ট নুডলস, রেডি-টু-ইট স্ন্যাকস বা প্যাকেটজাত খাবারে প্রাকৃতিক পুষ্টি নেই, বরং অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি থাকে। নিয়মিত এসব খেলে শরীরে ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন তৈরি হয়, যা ক্যানসারের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
চিকিৎসকের মতে, ক্যানসার প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হতে পারে রান্নাঘর থেকেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর বিকল্প গ্রহণ করাই হতে পারে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। সচেতন খাবারই ক্যানসারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা

ট্যাগ

মাসের এই ১ দিন মেয়েদের ;যৌ*ন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, রাজি হবে যেকোনো মেয়ে

নীরবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৬টি খাবার! সতর্ক করলেন হার্ভার্ডের চিকিৎসক

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ক্যানসারকে বলা হয় নীরব ঘাতক। জেনেটিক কারণ বা পরিবেশগত প্রভাবের পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের খাবারও অজান্তেই এই ভয়াবহ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসা এক ভিডিওতে হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. সৌরভ শেঠি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ছয় ধরনের খাবারের সঙ্গে ক্যানসারের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে।
তবে আশার খবর হলো, এগুলো এড়িয়ে চলা বা স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিলে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেই ছয়টি খাবার ও তাদের প্রভাব।
প্রথমেই রয়েছে প্রসেসড মাংস। হটডগ, সসেজ কিংবা ডেলি-মিট প্রোটিনের সহজ উৎস হলেও এগুলো আসলে নীরব ঘাতক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রসেসড মাংসকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। নাইট্রেট ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক পদার্থ অন্ত্রের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যানসারের পরিবেশ তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, চিনি মেশানো পানীয়। ফিজি ড্রিঙ্ক বা ফ্লেভারড বেভারেজ অনেকেরই দৈনন্দিন অভ্যাস, কিন্তু এগুলো শুধু ওজনই বাড়ায় না, বরং রক্তে শর্করা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে ক্যানসার কোষকে সক্রিয় করে তোলে। স্তন, অগ্ন্যাশয় ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
তৃতীয় বিপদ ডিপ-ফ্রাই খাবার। পুনঃব্যবহৃত তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা সমুচার মতো খাবারে তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড নামের বিষাক্ত যৌগ। এটি শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়, ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চতুর্থত, অতিরিক্ত পোড়া বা গ্রিলড মাংস। ধোঁয়াটে স্বাদের আড়ালে এই মাংসে তৈরি হয় HCA ও PAH নামক ক্ষতিকর যৌগ, যা ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যানসারের সূচনা ঘটায়।
অ্যালকোহলও ক্যানসারের অন্যতম অনুঘটক। অনেকের ধারণা অল্প পরিমাণ ওয়াইন শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু ড. শেঠি জানাচ্ছেন, সামান্য অ্যালকোহলও স্তন ও লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায় এবং ডিএনএ মেরামতের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
সবশেষে, অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার। ইনস্ট্যান্ট নুডলস, রেডি-টু-ইট স্ন্যাকস বা প্যাকেটজাত খাবারে প্রাকৃতিক পুষ্টি নেই, বরং অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি থাকে। নিয়মিত এসব খেলে শরীরে ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন তৈরি হয়, যা ক্যানসারের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
চিকিৎসকের মতে, ক্যানসার প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হতে পারে রান্নাঘর থেকেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর বিকল্প গ্রহণ করাই হতে পারে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। সচেতন খাবারই ক্যানসারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা