০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়েরা ৭টি নতুন স্টাইলে করতে পছন্দ করেন, রইল পজিশনের ছবি

বিবাহিত মহিলাদের ৭টি কষ্ট কথা, যা সহজে সামনে আনেন না
নারী-পুরুষ ভেদে চিন্তা-ভাবনা আর জীবনকে দেখার দৃষ্টি ভঙ্গি আলাদা মানুষের বৈবাহিক অবস্থার সঙ্গে ও কিন্তু এই সবের পরিবর্তন হয়। একজন তরুণী বিয়ের আগে যেমনটা থাকে, বিয়ের পর তার অনেকটাই বদলে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন মানুষ হয়ে ওঠতে হয়৷ বিয়ে ব্যাপারটাম দূর থেকে যতটা সুখের মনে হয়, কাছে গেলে বদলে যায় পরিস্থিতি।
এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে, যেগুলো বিয়ে না হলে আসলে অনুভব করা যায় না। সেই সাত গোপন কথা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে৷
১) ছেলেদের জন্য ভালোবাসা যেমন, মেয়েদের জন্য ভালোবাসা আসলে তেমন নয়। বিয়ের কিছু বছর পর স্ত্রীর প্রতি অনেক স্বামীরই মনযোগ কমে আসে। বিষয়টা ভালোবাসার অভাব কখনও, কখনও আবার স্রেফ ব্যস্ততা বা দিনযাপনের অভ্যাস। অন্যদিকে, বিয়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে স্ত্রীর বরং মনযোগ পাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। স্বামীর অবহেলায় মনে মনে দগ্ধ যে কোন বিবাহিতা নারীকে জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে হতেই হয়।
২) সমাজে বিবাহিতা নারীর জীবনে একটা অত্যন্ত বড় ইস্যু হচ্ছে শাশুড়ি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাশুড়ির কারণে বিবাহিতা নারীরা নানা রকম মানসিক ও পারিবারিক সমস্যায় ভোগেন৷ এটা এমন একটা সমস্যা যে না পাড়া যায় বলতে আর না পাড়া যায় সহ্য করতে।
৩) পৃথিবীতে এমন কোন পুরুষ নেই, যিনি কিনা অন্য নারীদের দিকে তাকান না বা কখনও তাকাননি। বিয়ের পর কখনও না কখনও তৃতীয় কোন নারীর আগমন নিয়ে কষ্ট পেতে হয় স্ত্রীদের। এটা হতে পারে যে স্বামী অন্য নারীর প্রতি আগ্রহী, আবার এমনও হতে পারে যে অন্য কোন নারী স্বামীর প্রতি আগ্রহী। দুই ক্ষেত্রেই কষ্ট স্ত্রীকেই ভোগ করতে হয়।
৪) সমাজে পুরুষেরা স্ত্রীদের সাংসারিক দায়িত্ব ভাগ করে নেন না। বিয়ের পর একটা পুরুষের জীবনে যেটুকু পরিবর্তন আসে, তার চাইতে অনেক বেশী বদলে যায় নারীর জীবন। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব একা পালন করতে করতে নারী একটা বয়সে গিয়ে একাকীত্ব আর হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। বিশেষ করে সন্তানেরা একটু বড় হয়ে যাওয়ার পর।
৫) মা- বাবা, পরিবারকে ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যে আসলে কত কঠিন একটা বিষয়, সেটা কেবল বিয়ের পরই বুঝতে পারেন মেয়েরা। আর তাই তো বিয়ের পর পরিবারের জন্য টান এত বেড়ে যায়।
৬) বিবাহিত জীবনে যতই সুখী হোক না কেন, নিজের মনের গহীনে তরুণী বয়সের উচ্ছ্বল জীবনের জন্য একটা হাহাকার পুষে রাখেন সব নারীই। দায়িত্বহীন আনন্দময় জীবন, নিজের মত সব কিছু করে ফেলার স্বাধীনতা, নিজের সেই দীপ্তিভরা যৌ;বন, সবকিছুর জন্যই কখ কখনো মন খারাপ হয়।
৭) মহিলাদের আরেকটি কষ্ট আছে৷ যা সন্তান কেন্দ্রিক। সন্তান না হওয়া, সন্তানের অসুস্থতা, সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পর নানাভাবে মাকে অবহেলা আর কষ্ট দেওয়া বিষয়গুলি কেবল বিবাহিতা নারীদের জীবনেই আসে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

মেয়েরা ৭টি নতুন স্টাইলে করতে পছন্দ করেন, রইল পজিশনের ছবি

আপডেট সময়ঃ ০৪:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

বিবাহিত মহিলাদের ৭টি কষ্ট কথা, যা সহজে সামনে আনেন না
নারী-পুরুষ ভেদে চিন্তা-ভাবনা আর জীবনকে দেখার দৃষ্টি ভঙ্গি আলাদা মানুষের বৈবাহিক অবস্থার সঙ্গে ও কিন্তু এই সবের পরিবর্তন হয়। একজন তরুণী বিয়ের আগে যেমনটা থাকে, বিয়ের পর তার অনেকটাই বদলে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন মানুষ হয়ে ওঠতে হয়৷ বিয়ে ব্যাপারটাম দূর থেকে যতটা সুখের মনে হয়, কাছে গেলে বদলে যায় পরিস্থিতি।
এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে, যেগুলো বিয়ে না হলে আসলে অনুভব করা যায় না। সেই সাত গোপন কথা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে৷
১) ছেলেদের জন্য ভালোবাসা যেমন, মেয়েদের জন্য ভালোবাসা আসলে তেমন নয়। বিয়ের কিছু বছর পর স্ত্রীর প্রতি অনেক স্বামীরই মনযোগ কমে আসে। বিষয়টা ভালোবাসার অভাব কখনও, কখনও আবার স্রেফ ব্যস্ততা বা দিনযাপনের অভ্যাস। অন্যদিকে, বিয়ের বয়স বাড়ার সঙ্গে স্ত্রীর বরং মনযোগ পাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। স্বামীর অবহেলায় মনে মনে দগ্ধ যে কোন বিবাহিতা নারীকে জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে হতেই হয়।
২) সমাজে বিবাহিতা নারীর জীবনে একটা অত্যন্ত বড় ইস্যু হচ্ছে শাশুড়ি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাশুড়ির কারণে বিবাহিতা নারীরা নানা রকম মানসিক ও পারিবারিক সমস্যায় ভোগেন৷ এটা এমন একটা সমস্যা যে না পাড়া যায় বলতে আর না পাড়া যায় সহ্য করতে।
৩) পৃথিবীতে এমন কোন পুরুষ নেই, যিনি কিনা অন্য নারীদের দিকে তাকান না বা কখনও তাকাননি। বিয়ের পর কখনও না কখনও তৃতীয় কোন নারীর আগমন নিয়ে কষ্ট পেতে হয় স্ত্রীদের। এটা হতে পারে যে স্বামী অন্য নারীর প্রতি আগ্রহী, আবার এমনও হতে পারে যে অন্য কোন নারী স্বামীর প্রতি আগ্রহী। দুই ক্ষেত্রেই কষ্ট স্ত্রীকেই ভোগ করতে হয়।
৪) সমাজে পুরুষেরা স্ত্রীদের সাংসারিক দায়িত্ব ভাগ করে নেন না। বিয়ের পর একটা পুরুষের জীবনে যেটুকু পরিবর্তন আসে, তার চাইতে অনেক বেশী বদলে যায় নারীর জীবন। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব একা পালন করতে করতে নারী একটা বয়সে গিয়ে একাকীত্ব আর হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। বিশেষ করে সন্তানেরা একটু বড় হয়ে যাওয়ার পর।
৫) মা- বাবা, পরিবারকে ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা যে আসলে কত কঠিন একটা বিষয়, সেটা কেবল বিয়ের পরই বুঝতে পারেন মেয়েরা। আর তাই তো বিয়ের পর পরিবারের জন্য টান এত বেড়ে যায়।
৬) বিবাহিত জীবনে যতই সুখী হোক না কেন, নিজের মনের গহীনে তরুণী বয়সের উচ্ছ্বল জীবনের জন্য একটা হাহাকার পুষে রাখেন সব নারীই। দায়িত্বহীন আনন্দময় জীবন, নিজের মত সব কিছু করে ফেলার স্বাধীনতা, নিজের সেই দীপ্তিভরা যৌ;বন, সবকিছুর জন্যই কখ কখনো মন খারাপ হয়।
৭) মহিলাদের আরেকটি কষ্ট আছে৷ যা সন্তান কেন্দ্রিক। সন্তান না হওয়া, সন্তানের অসুস্থতা, সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পর নানাভাবে মাকে অবহেলা আর কষ্ট দেওয়া বিষয়গুলি কেবল বিবাহিতা নারীদের জীবনেই আসে।