০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ, চ্যালেঞ্জগুলো এখনো বিদ্যমান

নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হলো নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্দেশ্য। একজন নারী গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রাখেন। শুধু মা-ই নন, মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুরও যত্ন প্রয়োজন, যাকে বলা হয় গর্ভকালীন সেবা। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি না করে পরিবার, সমাজ ও দেশকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেওয়া।

দেশে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, প্রসব-পূর্ববর্তী চার বার সেবা না নেওয়া, অদক্ষ ধাত্রীর হাতে প্রসব এবং অল্পবয়সে গর্ভধারণের ফলে এখনো মাতৃমৃত্যুর হার আশানুরূপ কমছে না এবং ৫৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হচ্ছে বাড়িতে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসব-পূর্ব চার বার সেবা পান না ৬১ শতাংশ গর্ভবতী। এ ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে আছেন গ্রামের গর্ভবতীরা। গ্রামের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা পান না ৬৪ শতাংশ গর্ভবতী, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অনেক পিছিয়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যু ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু অনিরাপদ মাতৃত্ব ও সন্তান প্রসবের কারণে এখনো দেশে প্রতি লাখ জীবিত শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৩৬ জন মা মারা যাচ্ছেন।

জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, শিশু জন্ম দিতে গিয়ে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী মারা যান। আর অন্তত পক্ষে সাত মিলিয়ন নারী প্রসব পরবর্তী গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া প্রসবের পর নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন আরও ৫০ মিলিয়ন নারী।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যান বলে জানায় ডব্লিউএইচও। আমাদের দেশে প্রতি এক লাখ প্রসবের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৮ মে দেশে পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও দিবসটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘মাতৃস্বাস্থ্যের সমতা, বাদ যাবে না কোন মা’। নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস সরকার পালন করে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো গর্ভকালীন যত্ন, পুষ্টি বা জরুরি চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সুযোগের অভাব রয়েছে। বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্ব, অপুষ্টি এবং দারিদ্র্য এসব মাতৃমৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত। অনেক জায়গায় এখনো দক্ষ ধাত্রী বা প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব, পর্যাপ্ত হাসপাতালের অপ্রতুলতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, রেফারেল ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা—গর্ভবতী নারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বৈষম্য এ সমস্যা আরও প্রকট করে তুলছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন গর্ভবতী নারীকে গর্ভাবস্থায় অন্তত ৪বার গর্ভকালীন সেবা নিতে হবে। এই সেবার মধ্যে রয়েছে প্রসূতির শারীরিক পরীক্ষা, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ মায়েদের চিহ্নিত করে সেবা দেওয়া। প্রসূতি ও তার পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ প্রসবের প্রকৃতি, সময় ও স্থান নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।

অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩ এর তথ্য বলছে— প্রসব-পূর্ব চার বারের বেশি সেবা পান ৩৯ শতাংশ গর্ভবতী নারী। অর্থাৎ ৬১ শতাংশ গর্ভবতী এখনো এই সেবা পান না। এই সেবার ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে গ্রামের গর্ভবতীরা। গ্রামের গর্ভবতীকালীন স্বাস্থ্যসেবা পান না ৬৪ শতাংশ গর্ভবতী ও শহরে ৪৩ শতাংশ। তবে ২ শতাংশ নারী এখনো একবারের জন্যও এই সেবা নেয়নি। যদিও বাসাবাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীদের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু এখনো মোট প্রসবের ৩৬ শতাংশই হচ্ছে বাসাবাড়িতে অনিরাপদভাবে। শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে বাসাবাড়িতে সন্তান প্রসব হচ্ছে ১৪ শতাংশ বেশি। গ্রামাঞ্চলে মোট প্রসবের ৩৬ শতাংশই হচ্ছে বাসাবাড়িতে ও শহরাঞ্চলে ২২ শতাংশ। এছাড়া নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি বাল্যবিবাহ বেড়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে বিবাহের হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এই হার ৯ শতাংশ ও শহরে ৭ শতাংশ। অন্যদিকে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায় ৪২ শতাংশ নারীর। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৪১ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এই হার ৪৪ শতাংশ ও শহরে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান প্রসব হচ্ছে ২৬ শতাংশ মায়ের, যা বাসা-বাড়িতে প্রসবের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসবের হার ১০ শতাংশ বেশি। গ্রামে ২৪ শতাংশ মা ও শহরে ৩৪ শতাংশ মায়ের সন্তান প্রসব হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে।

ট্যাগ

মাসের এই ১ দিন মেয়েদের ;যৌ*ন চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে, রাজি হবে যেকোনো মেয়ে

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ, চ্যালেঞ্জগুলো এখনো বিদ্যমান

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হলো নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্দেশ্য। একজন নারী গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রাখেন। শুধু মা-ই নন, মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুরও যত্ন প্রয়োজন, যাকে বলা হয় গর্ভকালীন সেবা। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি না করে পরিবার, সমাজ ও দেশকে একটি সুস্থ শিশু উপহার দেওয়া।

দেশে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, প্রসব-পূর্ববর্তী চার বার সেবা না নেওয়া, অদক্ষ ধাত্রীর হাতে প্রসব এবং অল্পবয়সে গর্ভধারণের ফলে এখনো মাতৃমৃত্যুর হার আশানুরূপ কমছে না এবং ৫৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হচ্ছে বাড়িতে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসব-পূর্ব চার বার সেবা পান না ৬১ শতাংশ গর্ভবতী। এ ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে আছেন গ্রামের গর্ভবতীরা। গ্রামের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা পান না ৬৪ শতাংশ গর্ভবতী, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অনেক পিছিয়ে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে মাতৃমৃত্যু ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু অনিরাপদ মাতৃত্ব ও সন্তান প্রসবের কারণে এখনো দেশে প্রতি লাখ জীবিত শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৩৬ জন মা মারা যাচ্ছেন।

জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, শিশু জন্ম দিতে গিয়ে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী মারা যান। আর অন্তত পক্ষে সাত মিলিয়ন নারী প্রসব পরবর্তী গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া প্রসবের পর নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন আরও ৫০ মিলিয়ন নারী।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যান বলে জানায় ডব্লিউএইচও। আমাদের দেশে প্রতি এক লাখ প্রসবের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৮ মে দেশে পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও দিবসটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘মাতৃস্বাস্থ্যের সমতা, বাদ যাবে না কোন মা’। নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস সরকার পালন করে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো গর্ভকালীন যত্ন, পুষ্টি বা জরুরি চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সুযোগের অভাব রয়েছে। বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্ব, অপুষ্টি এবং দারিদ্র্য এসব মাতৃমৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত। অনেক জায়গায় এখনো দক্ষ ধাত্রী বা প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব, পর্যাপ্ত হাসপাতালের অপ্রতুলতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, রেফারেল ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা—গর্ভবতী নারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বৈষম্য এ সমস্যা আরও প্রকট করে তুলছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন গর্ভবতী নারীকে গর্ভাবস্থায় অন্তত ৪বার গর্ভকালীন সেবা নিতে হবে। এই সেবার মধ্যে রয়েছে প্রসূতির শারীরিক পরীক্ষা, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ মায়েদের চিহ্নিত করে সেবা দেওয়া। প্রসূতি ও তার পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ প্রসবের প্রকৃতি, সময় ও স্থান নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।

অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩ এর তথ্য বলছে— প্রসব-পূর্ব চার বারের বেশি সেবা পান ৩৯ শতাংশ গর্ভবতী নারী। অর্থাৎ ৬১ শতাংশ গর্ভবতী এখনো এই সেবা পান না। এই সেবার ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে গ্রামের গর্ভবতীরা। গ্রামের গর্ভবতীকালীন স্বাস্থ্যসেবা পান না ৬৪ শতাংশ গর্ভবতী ও শহরে ৪৩ শতাংশ। তবে ২ শতাংশ নারী এখনো একবারের জন্যও এই সেবা নেয়নি। যদিও বাসাবাড়িতে অদক্ষ ধাত্রীদের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু এখনো মোট প্রসবের ৩৬ শতাংশই হচ্ছে বাসাবাড়িতে অনিরাপদভাবে। শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে বাসাবাড়িতে সন্তান প্রসব হচ্ছে ১৪ শতাংশ বেশি। গ্রামাঞ্চলে মোট প্রসবের ৩৬ শতাংশই হচ্ছে বাসাবাড়িতে ও শহরাঞ্চলে ২২ শতাংশ। এছাড়া নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি বাল্যবিবাহ বেড়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে বিবাহের হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এই হার ৯ শতাংশ ও শহরে ৭ শতাংশ। অন্যদিকে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায় ৪২ শতাংশ নারীর। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৪১ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এই হার ৪৪ শতাংশ ও শহরে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান প্রসব হচ্ছে ২৬ শতাংশ মায়ের, যা বাসা-বাড়িতে প্রসবের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসবের হার ১০ শতাংশ বেশি। গ্রামে ২৪ শতাংশ মা ও শহরে ৩৪ শতাংশ মায়ের সন্তান প্রসব হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে।