০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়ের হাতে বাবার মর্মা’ন্তিক মৃ’ত্যু

সাভার, ঢাকা – সাভারে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা যা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জান্নাত জাহান শিফা (২৩) নামের এক তরুণী নিজেই ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান, তিনি তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করেছেন। কিন্তু কেন?

তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জান্নাত তার বাবার হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বাবা তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ মেয়েটির। এমনকি ২০২২ সালে মেয়েটি নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন জেল খাটার পর সাত্তার জামিনে ছাড়া পান।

তবে সেখানেই শেষ নয়। জামিনে বের হয়ে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন এবং পুনরায় যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন। শেষমেশ সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে জান্নাত সিদ্ধান্ত নেন প্রতিশোধ নেওয়ার।

ঘটনার দিন, বাবার ভাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান জান্নাত। গভীর রাতে, যখন তাঁর বাবা ঘুমিয়ে পড়েন, তখন ছুরি দিয়ে তাঁর বুকে ও পেটে একাধিক আঘাত করেন। এরপর নিজেই ফোন করেন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ এবং সব খুলে বলেন।

বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং জান্নাত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনাটি সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়: পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া কতটা জরুরি।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

মেয়ের হাতে বাবার মর্মা’ন্তিক মৃ’ত্যু

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

সাভার, ঢাকা – সাভারে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা যা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জান্নাত জাহান শিফা (২৩) নামের এক তরুণী নিজেই ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান, তিনি তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করেছেন। কিন্তু কেন?

তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জান্নাত তার বাবার হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বাবা তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ মেয়েটির। এমনকি ২০২২ সালে মেয়েটি নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন জেল খাটার পর সাত্তার জামিনে ছাড়া পান।

তবে সেখানেই শেষ নয়। জামিনে বের হয়ে মেয়েকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন এবং পুনরায় যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন। শেষমেশ সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে জান্নাত সিদ্ধান্ত নেন প্রতিশোধ নেওয়ার।

ঘটনার দিন, বাবার ভাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান জান্নাত। গভীর রাতে, যখন তাঁর বাবা ঘুমিয়ে পড়েন, তখন ছুরি দিয়ে তাঁর বুকে ও পেটে একাধিক আঘাত করেন। এরপর নিজেই ফোন করেন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ এবং সব খুলে বলেন।

বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং জান্নাত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এই ঘটনাটি সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়: পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া কতটা জরুরি।