০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে আরও বড় বিপদে ফেলতে যাচ্ছে ভারত?

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দেশটি তাদের আটকাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। এরপর এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ আটকে দিতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারত।

শুক্রবার (০৯ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আজ বিবেচনা করতে যাচ্ছে আইএমএফ। তবে দেশটিকে এ ঋণ না দিতে চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ভারত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমেই বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে আইএমএফের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, আইএমএফের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরবে ভারত। তিনি বলেন, আইএমএফ বোর্ডের উচিত গভীরভাবে চিন্তা করা এবং গত তিন দশক ধরে পাকিস্তানকে দেওয়া এই ঋণ সহায়তা কতটা সফল হয়েছে তা বিবেচনা করা।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় বিশ্বব্যাংক জানায়, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না।

সাক্ষাতের পর অজয় বাঙ্গা বলেন, চুক্তি স্থগিত করার কোনো ধারা নেই। এটা হয় বাতিল করতে হবে, নয়তো নতুন চুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, চুক্তিতে বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা শুধুই একটি মধ্যস্থতাকারীর। চুক্তিতে বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা শুধুই একটি মধ্যস্থতাকারীর।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানে বিতরণ করা ঋণ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। সূত্র বলছে, গত বছর পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে। মার্চ মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ঋণ পেয়েছে।

এই প্রোগ্রামটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পাকিস্তান বলেছে, এ ঋণ তাদের অনেক অর্থনৈতিক হুমকি এড়াতে সাহায্য করেছে।

কিন্তু ভারত পাকিস্তানের ঋণ বন্ধে তদবির শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনার অনুরোধ করেছে। দেশটি চায় না পাকিস্তান এ ধরনের বিদেশি ঋণ পাক। নয়াদিল্লির একটি সরকারি সূত্র বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে রয়টার্সকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানকে আরও বড় বিপদে ফেলতে যাচ্ছে ভারত?

আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। দেশটি তাদের আটকাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। এরপর এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ আটকে দিতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারত।

শুক্রবার (০৯ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আজ বিবেচনা করতে যাচ্ছে আইএমএফ। তবে দেশটিকে এ ঋণ না দিতে চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে ভারত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমেই বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে আইএমএফের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, আইএমএফের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরবে ভারত। তিনি বলেন, আইএমএফ বোর্ডের উচিত গভীরভাবে চিন্তা করা এবং গত তিন দশক ধরে পাকিস্তানকে দেওয়া এই ঋণ সহায়তা কতটা সফল হয়েছে তা বিবেচনা করা।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় বিশ্বব্যাংক জানায়, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না।

সাক্ষাতের পর অজয় বাঙ্গা বলেন, চুক্তি স্থগিত করার কোনো ধারা নেই। এটা হয় বাতিল করতে হবে, নয়তো নতুন চুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, চুক্তিতে বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা শুধুই একটি মধ্যস্থতাকারীর। চুক্তিতে বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা শুধুই একটি মধ্যস্থতাকারীর।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানে বিতরণ করা ঋণ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। সূত্র বলছে, গত বছর পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে। মার্চ মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ঋণ পেয়েছে।

এই প্রোগ্রামটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পাকিস্তান বলেছে, এ ঋণ তাদের অনেক অর্থনৈতিক হুমকি এড়াতে সাহায্য করেছে।

কিন্তু ভারত পাকিস্তানের ঋণ বন্ধে তদবির শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনার অনুরোধ করেছে। দেশটি চায় না পাকিস্তান এ ধরনের বিদেশি ঋণ পাক। নয়াদিল্লির একটি সরকারি সূত্র বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে রয়টার্সকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।