০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের অর্থায়নে মংলা বন্দর রূপ নিচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে চীনের সঙ্গে একটি বড় ধরনের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ। সম্প্রতি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সই হয়েছে এই উন্নয়ন চুক্তি, যার মাধ্যমে মংলা বন্দরকে একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
পশুর নদীর তীরে, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত মংলা বন্দরে বর্তমানে রয়েছে পাঁচটি জেটি এবং ২২টি নোঙর পয়েন্ট, যেখানে একসঙ্গে ৪৭টি জাহাজ নোঙর করতে পারে। এই বন্দরের অবকাঠামো ও কার্যক্ষমতা আরও বাড়াতে নেওয়া হয়েছে “মংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্প।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ)-এর উপপরিচালক মোহাম্মদ মাখরুজ্জামান জানান, গত ২৫ মার্চ চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের (CCECC) সঙ্গে একটি G2G (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) ভিত্তিক চুক্তি সই হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার নিজে দেবে ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাকি ৩,৫৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেবে চীন সরকার।

খুলনা সিভিক সোসাইটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার এই চুক্তিকে দেশের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। তবে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বার্থ সংরক্ষিত থাকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মংলা বন্দরের কার্যক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে এবং এটি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের অর্থায়নে মংলা বন্দর রূপ নিচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্রে

আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে চীনের সঙ্গে একটি বড় ধরনের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ। সম্প্রতি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সই হয়েছে এই উন্নয়ন চুক্তি, যার মাধ্যমে মংলা বন্দরকে একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
পশুর নদীর তীরে, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত মংলা বন্দরে বর্তমানে রয়েছে পাঁচটি জেটি এবং ২২টি নোঙর পয়েন্ট, যেখানে একসঙ্গে ৪৭টি জাহাজ নোঙর করতে পারে। এই বন্দরের অবকাঠামো ও কার্যক্ষমতা আরও বাড়াতে নেওয়া হয়েছে “মংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্প।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ)-এর উপপরিচালক মোহাম্মদ মাখরুজ্জামান জানান, গত ২৫ মার্চ চীনের চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের (CCECC) সঙ্গে একটি G2G (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) ভিত্তিক চুক্তি সই হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার নিজে দেবে ৪৭৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাকি ৩,৫৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দেবে চীন সরকার।

খুলনা সিভিক সোসাইটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার এই চুক্তিকে দেশের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। তবে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বার্থ সংরক্ষিত থাকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মংলা বন্দরের কার্যক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে এবং এটি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।