
বিশ্বজুড়ে পুষ্টিবিদরা জোর দিয়ে বলেন, ফল, শাকসবজি, ডাল ও বাদামে পরিপূর্ণ সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, পরিমিত পরিমাণে মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য ও শস্য গ্রহণ শরীরের পিএইচ লেভেলকে সুস্থ রাখে। কিন্তু এই পিএইচ লেভেল আমাদের অন্ত্র বা গাট হেলথে কীভাবে প্রভাব ফেলে? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
পিএইচ লেভেল কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ডায়েটিশিয়ান ও ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট উষাকিরণ সিসোদিয়া জানান, “অ্যাসিড ও অ্যালকালাইন মানে আসলে শরীরের ভিতরের রাসায়নিক ভারসাম্য, যা পিএইচ স্কেল দ্বারা মাপা হয়। এই স্কেল ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত হয়, যেখানে ৭ মানে নিউট্রাল (যেমন বিশুদ্ধ পানি), সাতের নিচে অ্যাসিডিক এবং সাতের উপরে অ্যালকালাইন ধরা হয়,”।
তিনি আরও জানান, “এই ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা হজম এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় জড়িত এনজাইমগুলোর সঠিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। সঠিক পিএইচ লেভেল শরীরের পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং টক্সিন মুক্ত করতে সহায়ক, ফলে দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া, দীর্ঘ সময় অ্যাসিডিক অবস্থায় থাকলে হাড়ের ক্ষয় ও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।”
আরও পড়ুন: মুখের ব্রণে হাত দিচ্ছেন, হতে পারে প্রাণঘাতী বিপদ
গ্রীষ্মকালে কোন ডায়েট উপযোগী?
ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট ডাঃ লীনা সজু জানান, গ্রীষ্মকালে অ্যাসিডিক খাবার যেমন টক ফল, আচার, ভিনিগার-ভিত্তিক সস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, পরিশোধিত চিনি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং শরীরে তাপ ও অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়। এতে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে ও হজম প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে।
তিনি বলেন, অ্যালকালাইন ডায়েট গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি উপযোগী। কারণ এতে জলীয় উপাদান বেশি থাকে, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে ও হাইড্রেটেড রাখে। এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের জন্য আরামদায়ক। “এগুলো পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইটে সমৃদ্ধ, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।”
গ্রীষ্মকালে কোনটি ভালো: অ্যাসিডিক নাকি অ্যালকালাইন ডায়েট?
গ্রীষ্মকালে কোনটি ভালো: অ্যাসিডিক নাকি অ্যালকালাইন ডায়েট?
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে পুষ্টিবিদরা জোর দিয়ে বলেন, ফল, শাকসবজি, ডাল ও বাদামে পরিপূর্ণ সুষম খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, পরিমিত পরিমাণে মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য ও শস্য গ্রহণ শরীরের পিএইচ লেভেলকে সুস্থ রাখে। কিন্তু এই পিএইচ লেভেল আমাদের অন্ত্র বা গাট হেলথে কীভাবে প্রভাব ফেলে? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
পিএইচ লেভেল কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ডায়েটিশিয়ান ও ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট উষাকিরণ সিসোদিয়া জানান, “অ্যাসিড ও অ্যালকালাইন মানে আসলে শরীরের ভিতরের রাসায়নিক ভারসাম্য, যা পিএইচ স্কেল দ্বারা মাপা হয়। এই স্কেল ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত হয়, যেখানে ৭ মানে নিউট্রাল (যেমন বিশুদ্ধ পানি), সাতের নিচে অ্যাসিডিক এবং সাতের উপরে অ্যালকালাইন ধরা হয়,”।
তিনি আরও জানান, “এই ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা হজম এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় জড়িত এনজাইমগুলোর সঠিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। সঠিক পিএইচ লেভেল শরীরের পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং টক্সিন মুক্ত করতে সহায়ক, ফলে দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া, দীর্ঘ সময় অ্যাসিডিক অবস্থায় থাকলে হাড়ের ক্ষয় ও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।”
আরও পড়ুন: মুখের ব্রণে হাত দিচ্ছেন, হতে পারে প্রাণঘাতী বিপদ
গ্রীষ্মকালে কোন ডায়েট উপযোগী?
ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট ডাঃ লীনা সজু জানান, গ্রীষ্মকালে অ্যাসিডিক খাবার যেমন টক ফল, আচার, ভিনিগার-ভিত্তিক সস, প্রক্রিয়াজাত মাংস, পরিশোধিত চিনি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং শরীরে তাপ ও অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়। এতে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে ও হজম প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে।
তিনি বলেন, অ্যালকালাইন ডায়েট গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি উপযোগী। কারণ এতে জলীয় উপাদান বেশি থাকে, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে ও হাইড্রেটেড রাখে। এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের জন্য আরামদায়ক। “এগুলো পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইটে সমৃদ্ধ, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।”উপযুক্ত অ্যালকালাইন খাবারের কিছু উদাহরণ:
তরমুজ, শসা, বিভিন্ন ধরনের সবজি খরবুজ (মুসমেলন), গাজর, ডাল, বাদাম ও বীজ। এইসব খাবার গ্রীষ্মকালে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধেও সহায়তা করতে পারে।