০৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ দেখেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক

সাধারণত মুখে কোনো ক্রিম ব্যবহার বা মাথার চুল ঠিক করার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি আমরা। কখনো কখনো মুখে ব্রণ বা কোনো সমস্যা থাকলে তা খেয়াল করা হয়। কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখেছেন, মুখের চেহারার মধ্যেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ লুকিয়ে থাকে? না ভাবলেও এবার হয়তো ভাবছেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ঠিকই ভালোভাবে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন।
মুখের বাহ্যিক রূপ শরীরের কোন কোন সমস্যা ইঙ্গিত করে, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। ফাংশনাল মেডিসিন ডাক্তার, থাইরয়েড, পিসিও এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের এমডি ডা. অ্যাড্রিয়ান এ ব্যাপারে জানিয়েছেন। তার মতে, আপনার মুখ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকে শুরু করে ভিটামিনের ঘাটতি পর্যন্ত প্রকাশ করে থাকে।

১. নারীর মুখের লোম বৃদ্ধি:
পিসিওএস: পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি ও থাইরয়েড রোগের সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যায়। ফলে ডিম্বাশয়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে।

২. বাইরের ভ্রু নষ্ট হওয়া:
হাইপোথাইরয়োডিজম: এটি এমন একটি অবস্থা, যা প্রায়ই ধীর বিপাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে বাইরের ভ্রু নষ্ট হয়।

আয়োডিনের মাত্রা কম: অয়োডিনের ঘাটতি থাকলেও বাইরের ভ্রু নষ্ট হয়। সাধারণত অপর্যাপ্ত খাদ্য খাওয়া হলে, বিশেষ করে আয়োডিনযুক্ত লবণ না খাওয়া হলে এ সমস্যা দেখা দেয়।

৩. লালচে মুখ:
হিস্টামিন সমস্যা: অ্যালার্জি ও অন্যান্য জটিলতা থাকলে মুখ লালচে ভাব হতে পারে।

অ্যাড্রিনাল সমস্যা: শক্তি ও চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্টিসল উৎপাদনে ভারসাম্যহীনতা থাকলেও মুখ লালচে হয়ে থাকে।
৪. মুখের কোণে ফাটল:
ভিটামিনি বি১২ এর অভাব: যারা নিরামিষাশী তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ ধরনের মানুষের ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি থাকায় মুখের কোণে ফাটল ধরে থাকে।

সংক্রমণ: ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।

শুষ্ক মুখ বা পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের অভাব থাকলে মুখ শুষ্ক হয়।

✪ আরও পড়ুন: খোসপাঁচড়া কেন হয়, কীভাবে ছড়ায় ও এর চিকিৎসা কী, জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

৫. চোখের নিচে কালো দাগ:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: বিশেষ করে উচ্চ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে।

রক্ত স্বল্পতা: রক্তে যদি আয়রনের মাত্রা কম থাকে বা প্রায়ই রক্ত পরীক্ষা বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়, তাহলে চোখের নিচের অংশ কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

মুখ দেখেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

সাধারণত মুখে কোনো ক্রিম ব্যবহার বা মাথার চুল ঠিক করার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি আমরা। কখনো কখনো মুখে ব্রণ বা কোনো সমস্যা থাকলে তা খেয়াল করা হয়। কিন্তু কখনো কী ভেবে দেখেছেন, মুখের চেহারার মধ্যেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ লুকিয়ে থাকে? না ভাবলেও এবার হয়তো ভাবছেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ঠিকই ভালোভাবে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন।
মুখের বাহ্যিক রূপ শরীরের কোন কোন সমস্যা ইঙ্গিত করে, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। ফাংশনাল মেডিসিন ডাক্তার, থাইরয়েড, পিসিও এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের এমডি ডা. অ্যাড্রিয়ান এ ব্যাপারে জানিয়েছেন। তার মতে, আপনার মুখ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থেকে শুরু করে ভিটামিনের ঘাটতি পর্যন্ত প্রকাশ করে থাকে।

১. নারীর মুখের লোম বৃদ্ধি:
পিসিওএস: পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি ও থাইরয়েড রোগের সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যায়। ফলে ডিম্বাশয়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে।

২. বাইরের ভ্রু নষ্ট হওয়া:
হাইপোথাইরয়োডিজম: এটি এমন একটি অবস্থা, যা প্রায়ই ধীর বিপাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে বাইরের ভ্রু নষ্ট হয়।

আয়োডিনের মাত্রা কম: অয়োডিনের ঘাটতি থাকলেও বাইরের ভ্রু নষ্ট হয়। সাধারণত অপর্যাপ্ত খাদ্য খাওয়া হলে, বিশেষ করে আয়োডিনযুক্ত লবণ না খাওয়া হলে এ সমস্যা দেখা দেয়।

৩. লালচে মুখ:
হিস্টামিন সমস্যা: অ্যালার্জি ও অন্যান্য জটিলতা থাকলে মুখ লালচে ভাব হতে পারে।

অ্যাড্রিনাল সমস্যা: শক্তি ও চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্টিসল উৎপাদনে ভারসাম্যহীনতা থাকলেও মুখ লালচে হয়ে থাকে।
৪. মুখের কোণে ফাটল:
ভিটামিনি বি১২ এর অভাব: যারা নিরামিষাশী তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ ধরনের মানুষের ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি থাকায় মুখের কোণে ফাটল ধরে থাকে।

সংক্রমণ: ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।

শুষ্ক মুখ বা পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের অভাব থাকলে মুখ শুষ্ক হয়।

✪ আরও পড়ুন: খোসপাঁচড়া কেন হয়, কীভাবে ছড়ায় ও এর চিকিৎসা কী, জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

৫. চোখের নিচে কালো দাগ:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: বিশেষ করে উচ্চ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে।

রক্ত স্বল্পতা: রক্তে যদি আয়রনের মাত্রা কম থাকে বা প্রায়ই রক্ত পরীক্ষা বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়, তাহলে চোখের নিচের অংশ কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।