
গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য রকমারি খাবার খাওয়া হয়। এ সময় প্রচুর ঘাম ঝরে বলে তরল পানীয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি আমরা। বাজারের নানা ধরনের পানীয় পানের পাশাপাশি গ্রীষ্মে ডাবের পানি ও আখের রস খুবই জনপ্রিয়। পানীয় দুটি প্রাকৃতিক হওয়ায় চাহিদাও বেশি থাকে।
ডাবের পানি ও আখের রস শরীরের পানিশূন্যতা ও প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। হাইড্রেটেড রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে পানীয় দুটির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ একদমই আলাদা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গরমে আপনি ডাবের পানি পান করবেন, নাকি আখের রস? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
আখের রস: গরমে আখের রস পান করা মোটেও ক্ষতিকর নয়। তবে এটি তৈরির সময় যেন অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে কৃত্রিম উপাদান স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ। আবার আখের রসের বিশুদ্ধতাও হ্রাস করতে পারে। ফলে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি থাকে। উপকার পেতে কোনো কৃত্রিম উপাদান ছাড়া সরাসরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি আখের রস পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।
ডাবের পানি: ডাবের পানিও প্রাকৃতিক পানীয়, এতে ক্যালোরি কম এবং পুষ্টি রয়েছে। পটাশিয়ামের জন্য চমৎকার উৎস, যা আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। আবার ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটিও আখের রসের মতো প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
✪ আরও পড়ুন: মুখ দেখেই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বোঝার উপায় জানালেন চিকিৎসক
কোনটি খাবেন: গ্রীষ্মকালে আখের রস ও ডাবের পানি উভয়ই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে কার্যকর। কিন্তু দুটির মধ্যে আপনি কোনটি পান করবেন, তা আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। কেননা, এতে মিষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক কিছুটা কম। আবার ওজন কমাতে চাইলেও ডাবের পানি বেছে নিতে পারেন।
সতর্কতা: মনে রাখতে হবে, আখের রস অতিরিক্ত পান করলে পেটের সমস্যা যেমন―গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা ও পেট ফোলাভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি হতে পারে। এদিকে ডাবের পানি অতিরিক্ত পান করা হলে প্রয়োজনীয় উপাদানের ভারসাম্যহীনতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকায় কিডনির ওপর চাপ পড়ার ঝুঁকি থাকে।