
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা হলে পাকিস্তান তার পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। সোমবার (৫ মে) রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) অনুষ্ঠিত ১৫তম ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ বেলুচিস্তানের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বেলুচিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চলমান ও পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যাপকতা ও পরিধি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করবে। ইতোমধ্যেই অনেক প্রকল্প বেলুচিস্তানের মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনতে শুরু করেছে।’
জেনারেল মুনির বেসরকারি সমাজ, বিশেষ করে যুবসমাজের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘তাদের ভূমিকা সমৃদ্ধির পথে অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বেলুচিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সহিংসতা উস্কে দিতে ও আতঙ্ক ছড়াতে চায়, তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
বেলুচ পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসে জড়িতদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বেলুচ পরিচয়কে পুঁজি করে তাদের নষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা চালাচ্ছে, তারা বেলুচ জনগণের সম্মান ও দেশপ্রেমের ওপর কলঙ্ক।’
পাকিস্তানের শান্তির প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জেনারেল মুনির বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তি চায়। তবে যদি কেউ আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে, আমরা জাতীয় মর্যাদা ও জনগণের কল্যাণ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো জনগণের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।’
এই কর্মশালায় বেলুচিস্তানের সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। প্রদেশের ভবিষ্যত নেতৃত্বকে জাতীয় ও প্রাদেশিক চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে অবহিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।