০৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক ঠেকাতে ছয় জাদুকর কাঁচা খাবার!

 

 

 

তাপপ্রবাহের প্রভাব বাড়তে থাকায়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানুষকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু কাঁচা খাবার যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন—যা শরীরকে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে এবং হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য গরমজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা যখন একসঙ্গে বেড়ে যায়, তখন শরীরের উপর চাপ, পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত গরম লাগার সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে কাঁচা খাবার খাওয়া একদিকে যেমন রান্নার ঝামেলা কমায়, তেমনি শরীরের ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টিও সরবরাহ করে।

কেন কাঁচা খাবার সহায়ক:
পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক: পানিযুক্ত কাঁচা খাবার শরীরের তরলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে: রান্নাবিহীন ফলে ও সবজিতে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে বজায় থাকে।

শীতল প্রভাব: কিছু খাবার শরীরের ভেতরের গরম ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

রক্তে চিনির ভারসাম্য: আঁশসমৃদ্ধ খাবার শরীরকে দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি কমায়।

ছয়টি প্রাকৃতিক কাঁচা শীতলকারী খাবার:
১) শসা – ৯৫% পানি রয়েছে; শরীর হাইড্রেটেড রাখে ও ত্বকের যত্নে সহায়ক।

২) তরমুজ – পানিতে ভরপুর এবং লাইকোপেন সমৃদ্ধ; সূর্যরশ্মির ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩) আম – ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর; গরমের ক্লান্তি দূর করতে কার্যকর।
৪) নারকেলের পানি – প্রাকৃতিক সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইটে ভরপুর।

৫) পুদিনা ও ধনেপাতা – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই দুইটি ভেষজ উদ্ভিদ শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

৬) টমেটো – পটাসিয়াম ও লাইকোপেন সমৃদ্ধ; সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

এই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারে এসব কাঁচা উপাদান যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোক ঠেকাতে ছয় জাদুকর কাঁচা খাবার!

আপডেট সময়ঃ ০৬:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

 

 

তাপপ্রবাহের প্রভাব বাড়তে থাকায়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানুষকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু কাঁচা খাবার যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন—যা শরীরকে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে এবং হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য গরমজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা যখন একসঙ্গে বেড়ে যায়, তখন শরীরের উপর চাপ, পানিশূন্যতা এবং অতিরিক্ত গরম লাগার সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে কাঁচা খাবার খাওয়া একদিকে যেমন রান্নার ঝামেলা কমায়, তেমনি শরীরের ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টিও সরবরাহ করে।

কেন কাঁচা খাবার সহায়ক:
পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক: পানিযুক্ত কাঁচা খাবার শরীরের তরলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে: রান্নাবিহীন ফলে ও সবজিতে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে বজায় থাকে।

শীতল প্রভাব: কিছু খাবার শরীরের ভেতরের গরম ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

রক্তে চিনির ভারসাম্য: আঁশসমৃদ্ধ খাবার শরীরকে দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি কমায়।

ছয়টি প্রাকৃতিক কাঁচা শীতলকারী খাবার:
১) শসা – ৯৫% পানি রয়েছে; শরীর হাইড্রেটেড রাখে ও ত্বকের যত্নে সহায়ক।

২) তরমুজ – পানিতে ভরপুর এবং লাইকোপেন সমৃদ্ধ; সূর্যরশ্মির ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩) আম – ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর; গরমের ক্লান্তি দূর করতে কার্যকর।
৪) নারকেলের পানি – প্রাকৃতিক সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইটে ভরপুর।

৫) পুদিনা ও ধনেপাতা – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এই দুইটি ভেষজ উদ্ভিদ শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

৬) টমেটো – পটাসিয়াম ও লাইকোপেন সমৃদ্ধ; সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

এই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারে এসব কাঁচা উপাদান যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।