০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে ভি’টামিনের অভাবে কমতে থাকে দৃ’ষ্টিশক্তি, জেনে নিন

চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে অনেক সময়ই চোখের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে—দূরদৃষ্টি কিংবা রাতকানা হয়ে দাঁড়ায় প্রতিদিনের জীবনে বড় বাধা। চিকিৎসকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি।
ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ‘রেটিনা’-র ফটোসেনসিটিভ সেলগুলোর (যেগুলো আলো শনাক্ত করে) সঠিক কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। এটি রড সেল নামক কোষে ‘রোডোপসিন’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা প্রদান করে।

কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে দেখা দিতে পারে—

নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাতকানা: অন্ধকারে ভালোভাবে দেখতে না পারা।

শুষ্ক চোখ (Xerophthalmia): চোখের অশ্রুগ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়।

কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: পর্যাপ্ত ভিটামিন না পেলে কর্নিয়া ঝাপসা হতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়া: দীর্ঘমেয়াদে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

কোন খাবারে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘এ’?

ভিটামিন ‘এ’ মূলত দুই রকমের হয়: প্রি-ফর্মড ভিটামিন ‘এ’ (যা প্রাণিজ উৎসে থাকে) এবং বিটা-ক্যারোটিন (যা উদ্ভিজ্জ উৎসে থাকে)।

ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, কলিজা (যকৃত), ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার।

করণীয় কী?

চোখের সমস্যা দেখা দিলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’-এর মাত্রা নির্ণয় করা যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসক খাবার পরিবর্তন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

চোখের যত্ন নিন, কারণ একবার যদি আলো হারিয়ে যায়—ফিরিয়ে আনা কঠিন।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

যে ভি’টামিনের অভাবে কমতে থাকে দৃ’ষ্টিশক্তি, জেনে নিন

আপডেট সময়ঃ ০৭:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে অনেক সময়ই চোখের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে—দূরদৃষ্টি কিংবা রাতকানা হয়ে দাঁড়ায় প্রতিদিনের জীবনে বড় বাধা। চিকিৎসকদের মতে, এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি।
ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ‘রেটিনা’-র ফটোসেনসিটিভ সেলগুলোর (যেগুলো আলো শনাক্ত করে) সঠিক কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন ‘এ’ অপরিহার্য। এটি রড সেল নামক কোষে ‘রোডোপসিন’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা প্রদান করে।

কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে দেখা দিতে পারে—

নাইট ব্লাইন্ডনেস বা রাতকানা: অন্ধকারে ভালোভাবে দেখতে না পারা।

শুষ্ক চোখ (Xerophthalmia): চোখের অশ্রুগ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়।

কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: পর্যাপ্ত ভিটামিন না পেলে কর্নিয়া ঝাপসা হতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট হওয়া: দীর্ঘমেয়াদে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

কোন খাবারে পাওয়া যায় ভিটামিন ‘এ’?

ভিটামিন ‘এ’ মূলত দুই রকমের হয়: প্রি-ফর্মড ভিটামিন ‘এ’ (যা প্রাণিজ উৎসে থাকে) এবং বিটা-ক্যারোটিন (যা উদ্ভিজ্জ উৎসে থাকে)।

ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস: গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, কলিজা (যকৃত), ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার।

করণীয় কী?

চোখের সমস্যা দেখা দিলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’-এর মাত্রা নির্ণয় করা যায়। প্রয়োজনে চিকিৎসক খাবার পরিবর্তন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।

চোখের যত্ন নিন, কারণ একবার যদি আলো হারিয়ে যায়—ফিরিয়ে আনা কঠিন।