স্টাফ রিপোর্টারঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান ১৯৪৫ সালে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন এর জালশুকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মরহুম মোজাহার আলী, মাতা মোছাঃ অবিরুন নেছা। হাবিবর রহমান ৬ ভাই ১ বোনের মাঝে সবার বড়। তিনি জালশুকা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, ধুনট এন ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান এবং ১৯৭৩ সালে এম এ ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি একজন সুদক্ষ ক্রীড়া নৈপুণ্য ব্যক্তি হওয়ায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বৃত্তি লাভ করে ”ইউনিভার্সিটি ব্লু” প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন গর্বিত সদস্য। তিনি মুজিব নগর সরকারের পলিটিকাল কো-অর্ডিনেটর হিসাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধুনট শেরপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধাদের সুসংগঠিত করতে একজন সুদক্ষ সংগঠন হিসেবে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হন।
শিক্ষা জীবন শেষে তিনি ১৯৭৩ সালে ২২শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের ডি এস পি পদে যোগদান করেন। সার্ভিস লাইফে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করায় ২০০১ সালে পি পি এম পদক সহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন। উল্লেখ্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটেকশন প্রটোকল অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী মতাদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বিএনপি জামায়াত সরকারের চাপের মুখে ২০০২ সালে চাকুরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
হাবিবর রহমান একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে ২০০৮ সালে ধুনট শেরপুর উপজেলা থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ হওয়ায় তিন তিনবার নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করে ধুনট শেরপুরের উন্নয়ন তরান্বিত করে চলছেন। বৈবাহিক জীবনে তিনি ২ সন্তানের জনক। কন্যা মোছাঃ ফারজানা আক্তার দীবা দেশ বরেণ্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং পুত্র প্রকৌশলী মুহম্মদ আসিফ ইকবাল সনি। যিনি ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে পিতার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত।
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ধুনট শেরপুরের সাধারণ মানুষের কল্যাণে বহুমুখী অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের সদিচ্ছা এবং ধুনট শেরপুর জনপদের নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য থেকে প্রাথমিক কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
তুলনামূলক ভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় সারা দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে তাল মিলিয়ে ধুনট শেরপুর জনপদেরও ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। রয়েছে আরো কিছু চলমান কাজ। জাতীয় জীবনে বৈদ্যুতিক বিপ্লবের অংশ হিসেবে ধুনট শেরপুরও পিছিয়ে নেই। তাঁর হাত ধরেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে এ জনপদে। তথ্য প্রযুক্তিতে এসেছে নবজাগরণ। প্রায় প্রতিটি স্কুল কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মাঝে তৈরী হচ্ছে উদ্ভাবনী চিন্তা শক্তির প্রয়াস। বিগত দিনের তুলনায় যথাযথ ভাবে উন্নত হচ্ছে মানুষের জীবন মান। আর এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তরান্বিত করেছেন এই জনপদেরই মাননীয় জাতীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান।
তথ্য চিত্র হিসেবে যদি উপস্থাপন করা যায় তবে ধুনট শেরপুর জনপদে এমপি হাবিবর রহমানের হাত ধরে যে কাজ গুলো সম্পূর্ণ হয়েছে তা হলো- পাকা রাস্তা ৭০০ কিলোমিটার, ১৯২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭০টি ব্রিজ কালভার্ট, উপজেলা সার্ভার স্টেশন ২টি, উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ ২টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ ৪টি, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ২টি, উপজেলা মডেল মসজিদ ২টি, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫০০টি গৃহ নির্মাণ, দরিদ্র অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে ৭২টি বীর নিবাস স্থাপন, সরকারি খাদ্য গুদাম ২টি, ২টি কলেজ ও ২টি উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ এবং বহুতল ভবন নির্মাণ। এছাড়া শেরপুর পৌর কিচেন মার্কেট ও ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নে বহুতল মার্কেট ভবন নির্মাণ। বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র, করতোয়া এবং বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণ, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিজরা প্রতিবন্ধী এবং অসচ্ছল নারীদের প্রশিক্ষণ (সেলাই মেশিন, গরু ছাগল, হাঁস মুরগি) প্রদানও কর্মসংস্থান তৈরি। কৃষকদের বিভিন্ন সময় সরকারি প্রণোদনা, কৃষি যন্ত্রপাতি ও দুর্যোগকালীন সহায়তা প্রদান।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ মসজিদ মন্দির কবরস্থানে সোলার প্যানেল স্থাপন,ব্যক্তিগত এবং সরকারি সহযোগিতা প্রদান। সুশিক্ষা বিনোদন সংস্কৃতি খেলাধুলা বৃক্ষরোপণ গভীর নলকূপ স্থাপন বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধী ভাতা, যাত্রী ছাউনি, উন্মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার,ধুনট মুজিব চত্বর সহ অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাঝে মিশে আছেন আধুনিক ধুনট শেরপুরের উন্নয়নের রূপকার জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ হাবিবর রহমান বগুড়া-৫।
উল্লেখ্য-বথুয়াবাড়ী বেড়েরবাড়ী ঝাঁজর কলাতলা শেরপুর সোনাহাটা চান্দাইকোনা,ইছামতী, করতোয়া,বাঙালী নদীর উপর বেশ কিছু ব্রিজ নির্মান এবং ধুনট শেরপুর জনপদের অসংখ্য রাস্তাঘাট পাকা ও প্রশস্ত করনে অবদান রেখেছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে হাবিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ,জিএমসি ডিগ্রী কলেজ,ধুনট সরকারি কলেজ, গোসাইবাড়ী ডিগ্রি কলেজ এবং চান্দাইকোনা,পিরহাটি,ছাতিয়ানী,মুলতানি,সোনাহাটা, গোসাইবাড়ী সহ অসংখ্য স্কুল কলেজকে আধুনিকীকরণে অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্কুল কলেজে বহুতল ভবন নির্মান, ল্যাব স্থাপন ইত্যাদিতে তাঁর সম্মুখ ভুমিকা রয়েছে। এছাড়া এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত এবং সরকারি সহযোগিতা অব্যহত রেখেছেন।
একটি আধুনিক জনপদ ধুনট শেরপুর বুঝাতে বিগত দিনের তুলনায় এমপি হাবিবর রহমানকে বুঝানো হয়। চতুর্থ বারের মত আবারো তিনি নির্বাচনী জনসংযোগ অব্যহত রেখেছেন। জনসাধারনের বিশ্বাস ধুনট শেরপুরে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশ্বস্ত পরিক্ষিত বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের হাতেই নৌকার মনোনয়ন অর্পণ করবেন। যার ফলে বেগবান হবে ধুনট শেরপুর জনপদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।।
শেখ সোহেল রানা
১৩/০৮/২০২৩