
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সীমান্তে গরু পাচার, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মকবুল নামে এক বিএনপি কর্মী হত্যা মামলাসহ কয়েকটি বিস্ফোরক মামলায় রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, ভারত সীমান্তে গরু পাচার, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে শত কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাশেদুল কাউছারসহ তার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহার, তার সহচর আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী চক্রবর্তীর স্থাবর সম্পদের তথ্য যাচাই করে মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ডাকযোগে পাঠানো হয় এই চিঠি। এর আগের দিন বুধবার চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। কসবার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ঢাকা ও নয়নপুরে তার বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে এবং সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ নিয়ে রয়েছে নানা সমালোচনা।