০৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুল পড়ে মাথা খালি হচ্ছে? ঘরোয়া এই ৩ উপায়ে মিলবে সমাধান

নারী কিংবা পুরুষ, প্রতিটি মানুষেরই চাওয়া থাকে তার মাথা যেন চুলে পরিপূর্ণ হয়। এ জন্য চুলের যত্নের কমতি রাখেন না কেউ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিভিন্ন কারণেই একটা বয়সে আসার পর অনেকেরই মাথার চুল পড়া শুরু হয়। কেউ কেউ টাক হয়ে যায়। আবার নারীদের মাথার চুল পড়তে পড়তে প্রায় খালি হয়ে যায়।
মজবুত, চকচকে ও ঘন কালো চুল এ সময় অধিকতর স্বপ্ন হয়ে উঠে। অনেক চেষ্টা করা হয় চুল পড়া বন্ধ করতে। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কী, হাতের নাগালে থাকা কিছু উপাদান ব্যবহারেই চুল বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে চুল বৃদ্ধির উপায় জেনে নেয়া যাক।
১. দই: প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বিশ্বব্যাপী খাদ্যতালিকায় মানুষের বেশ পছন্দের খাবার। এটি ক্ষতিগ্রস্ত চুলের গোড়া মেরামত করে এবং প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। মাথার ত্বকে দই ব্যহারে খুশকি কমে, শুষ্ক-জ্বালাপোড়া ত্বকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে।

উপকারিতা: চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায়, মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং মাথার খুশকি ও চুলকানির সমস্যা দূর করে।

ব্যবহারবিধি: ২ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুধু ও ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্ক হিসেবে লাগান এবং ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এভাবে সপ্তাহে এক বা দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

২. ঘি: যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক রীতি অনুযায়ী ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ, ডি, ই এর মতো চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিনের উৎস। ঘি মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং চুল শক্তিশালী ও ঘন করে।

উপকারিতা: ঘি ব্যবহারে মাথার ত্বকের গভীরের অবস্থা ভালো হয়। শুষ্কতা ও কুঁচকে যাওয়া কমায়, চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী হতে উৎসাহিত করে এবং মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
ব্যবহারবিধি: ১ টেবিল চামচ গরম ঘি মাথার ত্বকে মেসেজ করুন। ১-২ ঘণ্টা রেখে দিতে পারেন। তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

৩. মিল্ক ক্রিম (মালাই): মালাই হলো ঘন ক্রিম, যা দুধ জ্বাল করলে এর উপরে তৈরি হয়। এই ক্রিম চর্বি, ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। যা নিস্তেজ, ক্ষতিগ্রস্ত বা কুঁচকে যাওয়া চুলের জন্য আদর্শ কন্ডিশনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় সরাসরি এই ক্রিম ব্যবহার করলে গভীর হাইড্রেশন পাওয়া যায়।

✪ আরও পড়ুন: গরমে টক দই খাওয়া ভালো না ক্ষতি, খেলে কী ঘটে শরীরে?

উপকারিতা: চুলকে গভীরভাবে আর্দ্র করে, রুক্ষ প্রান্ত নরম করে, কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ও পরিচালন যোগ্যতা উন্নত করে।

ব্যবহারবিধি: ২ টেবিল চামচ মালাই নিয়ে তাতে ১ চা চামচ লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর চুলে ও মাথার ত্বকে মেসেজ করে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন। তবে হ্যাঁ, মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত বা খুশকিযুক্ত থাকে, তাহলে মালাই মাথায় লাগাবেন না। এতে উপকারের বিপরীতে ক্ষতি হতে পারে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

চুল পড়ে মাথা খালি হচ্ছে? ঘরোয়া এই ৩ উপায়ে মিলবে সমাধান

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নারী কিংবা পুরুষ, প্রতিটি মানুষেরই চাওয়া থাকে তার মাথা যেন চুলে পরিপূর্ণ হয়। এ জন্য চুলের যত্নের কমতি রাখেন না কেউ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিভিন্ন কারণেই একটা বয়সে আসার পর অনেকেরই মাথার চুল পড়া শুরু হয়। কেউ কেউ টাক হয়ে যায়। আবার নারীদের মাথার চুল পড়তে পড়তে প্রায় খালি হয়ে যায়।
মজবুত, চকচকে ও ঘন কালো চুল এ সময় অধিকতর স্বপ্ন হয়ে উঠে। অনেক চেষ্টা করা হয় চুল পড়া বন্ধ করতে। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কী, হাতের নাগালে থাকা কিছু উপাদান ব্যবহারেই চুল বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে চুল বৃদ্ধির উপায় জেনে নেয়া যাক।
১. দই: প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বিশ্বব্যাপী খাদ্যতালিকায় মানুষের বেশ পছন্দের খাবার। এটি ক্ষতিগ্রস্ত চুলের গোড়া মেরামত করে এবং প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। মাথার ত্বকে দই ব্যহারে খুশকি কমে, শুষ্ক-জ্বালাপোড়া ত্বকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে।

উপকারিতা: চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায়, মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং মাথার খুশকি ও চুলকানির সমস্যা দূর করে।

ব্যবহারবিধি: ২ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুধু ও ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্ক হিসেবে লাগান এবং ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এভাবে সপ্তাহে এক বা দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

২. ঘি: যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক রীতি অনুযায়ী ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ, ডি, ই এর মতো চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিনের উৎস। ঘি মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং চুল শক্তিশালী ও ঘন করে।

উপকারিতা: ঘি ব্যবহারে মাথার ত্বকের গভীরের অবস্থা ভালো হয়। শুষ্কতা ও কুঁচকে যাওয়া কমায়, চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী হতে উৎসাহিত করে এবং মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
ব্যবহারবিধি: ১ টেবিল চামচ গরম ঘি মাথার ত্বকে মেসেজ করুন। ১-২ ঘণ্টা রেখে দিতে পারেন। তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

৩. মিল্ক ক্রিম (মালাই): মালাই হলো ঘন ক্রিম, যা দুধ জ্বাল করলে এর উপরে তৈরি হয়। এই ক্রিম চর্বি, ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। যা নিস্তেজ, ক্ষতিগ্রস্ত বা কুঁচকে যাওয়া চুলের জন্য আদর্শ কন্ডিশনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় সরাসরি এই ক্রিম ব্যবহার করলে গভীর হাইড্রেশন পাওয়া যায়।

✪ আরও পড়ুন: গরমে টক দই খাওয়া ভালো না ক্ষতি, খেলে কী ঘটে শরীরে?

উপকারিতা: চুলকে গভীরভাবে আর্দ্র করে, রুক্ষ প্রান্ত নরম করে, কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ও পরিচালন যোগ্যতা উন্নত করে।

ব্যবহারবিধি: ২ টেবিল চামচ মালাই নিয়ে তাতে ১ চা চামচ লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর চুলে ও মাথার ত্বকে মেসেজ করে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন। তবে হ্যাঁ, মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত বা খুশকিযুক্ত থাকে, তাহলে মালাই মাথায় লাগাবেন না। এতে উপকারের বিপরীতে ক্ষতি হতে পারে।