
তীব্র গরম বয়ে চলছে। রোদের আঁচে কিছুক্ষণ থাকতেই হাঁসফাঁস শুরু হয়ে যায়। সারাক্ষণ শুধু ঠান্ডা আবহাওয়া এবং শরীর ও মন সতেজ থাকতে চায়। এ জন্য ফ্যান-এসিতে অবস্থান বা বারবার গোসল করা হয়। পাশাপাশি ঠান্ডাজাতীয় খাবার রাখা হয় খাদ্যতালিকায়। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করেন।
গরমে ঘামের পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের কথা বলা হয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে তিন থেকে চার লিটার পরিমাণ পানি পানের প্রয়োজন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, আবার শরীরে জমে থাকা টক্সিনও নিঃসরণ হয়। এ সময় অনেকেই আবার ডিটক্স ওয়াটার পান করেন। কিন্তু এই পানীয়ের কী প্রয়োজন ও উপকারিতা আছে? এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ অনুশ্রী মিত্র।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, আমাদের আলাদা করে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। লিভার-কিডনির মতো কিছু অঙ্গ রয়েছে, যা শরীরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ডিটক্সিফাই করে। তবে কেউ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে বা ভারী খাবার খাওয়ার পর পেট ভার হয়ে থাকলে, এ ক্ষেত্রে ডিটক্স ওয়াটার খেতে পরেন।
তিনি বলেন, সাধারণত পানিতে মৌসুমী ফল, হার্বস দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এতে পানিতে ওই সব ফলের ভিটামিন ও মিনারেল মিশে যায় এবং এই ডিটক্স ওয়াটার শরীরের জন্য হয়ে উঠে পুষ্টিকর।
এ পুষ্টিবিদের ভাষ্যমতে, সারাদিন যদি এক লিটার ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া হয়, তাহলে শরীর বেশ ঝরঝরে থাকে। খাবারও দ্রুত হজম হয়। শরীর হাইড্রেটেড থাকে। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পর ডিটক্স ওয়াটার খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আর এটি সবসময় কাচের বোতলে খাওয়া উচিত।
যেভাবে তৈরি করবেন ডিটক্স ওয়াটার:
আপেলের ডিটক্স ওয়াটার: প্রথমে দুই টুকরো আপেল, দারুচিনি এক টুকরো ও হাফ চামচ মৌরি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এসব উপাদান ভিজিয়ে রাখতে পারেন। আর দুপুরে ভাত খাওয়ার পর পান করতে পারেন এই পানীয়।
সা, লেবু ও পুদিনার ডিটক্স ওয়াটার: এক লিটার পানিতে কয়েক টুকরো শসা, গোল করে কাটা লেবুর টুকরো ও ৭-৮টি পুদিনা পাতা রেখে দিন। তারপর দিনভর পান করতে পারেন তা।
তরমুজের ডিটক্স ওয়াটার: এ জন্য প্রথমেই একটি কাচের জার নিতে হবে। তাতে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো তরমুজ ও এক মুঠো পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। তারপর ২০-৩০ মিনিট পর থেকে এই পানীয় পান করতে পারেন। তবে কেউ চাইলে তরমুজের পরিবর্তে আনারসও ব্যবহার করতে পারেন।