০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন

 

যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন
যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ত্বক থেকেই বোঝা যেতে পারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না। ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া এবং জীবনযাত্রায় সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সময়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। কোলেস্টেরল মূলত রক্তে থাকা এক ধরনের চর্বি। আমাদের দেহে খারাপ ও ভালো—দুই ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে। একটিকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এবং অন্যটিকে খারাপ কোলেস্টেরল
ভালো কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলেও খারাপ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ধীরে ধীরে ধমনিতে জমতে শুরু করে, যার ফলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয় এবং হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ত্বক থেকেই বোঝা যেতে পারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ত্বকে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত। জেনে নিন সেই পাঁচটি লক্ষণ:
চোখের চারপাশে হলুদ দাগ: খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চোখের আশপাশে হলুদ রঙের দাগ বা আস্তরণ দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘জ্যানথেলাসমা’। এটি মূলত ত্বকের নিচে চর্বি জমার কারণে হয়। কখনো কখনো ছোট ফুসকুড়ির মতো দাগও দেখা যায়। এমন লক্ষণ দেখলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ত্বকের রং পরিবর্তন: উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে অনেক সময় ত্বকের স্বাভাবিক রং বদলে যায়। ত্বক হালকা হলুদ বা কালচে হয়ে যেতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা নির্দেশ করে। মুখের উজ্জ্বলতা হঠাৎ কমে গেলে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে দেখা জরুরি।
ত্বকের শুষ্কতা ও সোরাইসিস: শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেক সময় সোরাইসিসের মতো চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘হাইপারলিপিডেমিয়া’। এর ফলে ত্বকে রুক্ষতা, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে।
ত্বকে নীল বা বেগুনি দাগ: হাত, পা বা মুখে নীলচে বা বেগুনি রঙের দাগ কিংবা জালের মতো নকশা দেখা গেলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। এটি রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এমন দাগ দেখলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া: খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। এমনকি ত্বকে অকারণে ফোলাভাবও দেখা দিতে পারে।

এইসব লক্ষণগুলো সময়মতো চিনতে পারলে কোলেস্টেরলের মতো জটিল সমস্যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে আপনি সুস্থ ত্বক ও হৃদয় উপহার পেতে পারেন।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন
যেসব লক্ষণ থেকে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিতে আছেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ত্বক থেকেই বোঝা যেতে পারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না। ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া এবং জীবনযাত্রায় সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সময়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। কোলেস্টেরল মূলত রক্তে থাকা এক ধরনের চর্বি। আমাদের দেহে খারাপ ও ভালো—দুই ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে। একটিকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) এবং অন্যটিকে খারাপ কোলেস্টেরল
ভালো কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলেও খারাপ কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ধীরে ধীরে ধমনিতে জমতে শুরু করে, যার ফলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয় এবং হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ত্বক থেকেই বোঝা যেতে পারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ত্বকে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত। জেনে নিন সেই পাঁচটি লক্ষণ:
চোখের চারপাশে হলুদ দাগ: খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চোখের আশপাশে হলুদ রঙের দাগ বা আস্তরণ দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘জ্যানথেলাসমা’। এটি মূলত ত্বকের নিচে চর্বি জমার কারণে হয়। কখনো কখনো ছোট ফুসকুড়ির মতো দাগও দেখা যায়। এমন লক্ষণ দেখলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ত্বকের রং পরিবর্তন: উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে অনেক সময় ত্বকের স্বাভাবিক রং বদলে যায়। ত্বক হালকা হলুদ বা কালচে হয়ে যেতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা নির্দেশ করে। মুখের উজ্জ্বলতা হঠাৎ কমে গেলে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে দেখা জরুরি।
ত্বকের শুষ্কতা ও সোরাইসিস: শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেক সময় সোরাইসিসের মতো চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘হাইপারলিপিডেমিয়া’। এর ফলে ত্বকে রুক্ষতা, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে।
ত্বকে নীল বা বেগুনি দাগ: হাত, পা বা মুখে নীলচে বা বেগুনি রঙের দাগ কিংবা জালের মতো নকশা দেখা গেলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। এটি রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এমন দাগ দেখলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া: খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। এমনকি ত্বকে অকারণে ফোলাভাবও দেখা দিতে পারে।

এইসব লক্ষণগুলো সময়মতো চিনতে পারলে কোলেস্টেরলের মতো জটিল সমস্যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে আপনি সুস্থ ত্বক ও হৃদয় উপহার পেতে পারেন।