
‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা তো রাজনীতির ‘র’-ও বোঝে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস। এছাড়া শিক্ষার্থীরা রাজনীতি নিয়ে অনেক সময় সচেতন থাকতেও চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের কাজই হলো, সাধারণ শিক্ষার্থীরা একেবারেই রাজনীতিবিমুখ হলে একটা দেশ গণতান্ত্রিক পন্থায় চলতে পারে না, তাই আমরা তাদের সোচ্চার করবো। আমরা লিফলেট বিতরণ করবো, আড্ডা, গানে তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হবো।
গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ছাত্রদলের সামনের সারির নেতৃত্ব যদি আগামীতে কোনোভাবে আহত হয়, নিহত হয় আমরা বাংলা সিনেমার শাবানার মতো আচরণ করতে পারব না। ওগো এদের ক্ষমা করো। আমরা ক্ষমা করতে পারবো না। আমাদেরও রক্ত গরম হয়, আমাদেরও শরীর গরম হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল একটি কমন প্লাটফর্ম উল্লেখ্য করে গণেশ বলেন, এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে কলুষিত করছে কারা? এটা আমাদের প্রশ্ন। যারা এই প্লাটফর্মকে সামনে রেখে মব সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অগণতান্ত্রিক পন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দিতে চাই।
এসময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বৈষম্যমুখী ছাত্র আন্দোলন বলবেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের মাধ্যমে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্তব্য করেন। কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি এই ব্যানারকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু কঠোর অবস্থান নিতে ভুল করব না।
এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রনেতাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সন্ত্রাসের রাজত্বকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে।