০৪:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ কে মাঠে নামাতে দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান, বড় হচ্ছে মিছিল!

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র আট মাস পরই পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গোপনে মাস্টারপ্লান তৈরি করে দলটি এখন রাজপথে ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

 

সূত্রমতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম থাকলেও ক্রমেই তা বাড়ছে। একইসাথে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের ভেতর থেকে কোনো গোপন সমর্থন না পেলে এত দ্রুত আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারত না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী সমর্থকরা কৌশলগত সমর্থন দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে এক পোস্টে সতর্ক করে বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী-বিরোধী অবস্থানকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যদি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তারা পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠবে। এতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের এই অপ্রতিরোধ্য পুনরুত্থান চেষ্টা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য কতটা ঝুঁকি তৈরি করবে, তা এখনই মূল্যায়ন করা কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ কে মাঠে নামাতে দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান, বড় হচ্ছে মিছিল!

আপডেট সময়ঃ ১১:৩০:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র আট মাস পরই পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গোপনে মাস্টারপ্লান তৈরি করে দলটি এখন রাজপথে ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

 

সূত্রমতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম থাকলেও ক্রমেই তা বাড়ছে। একইসাথে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের ভেতর থেকে কোনো গোপন সমর্থন না পেলে এত দ্রুত আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারত না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী সমর্থকরা কৌশলগত সমর্থন দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে এক পোস্টে সতর্ক করে বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী-বিরোধী অবস্থানকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যদি দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তারা পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠবে। এতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের এই অপ্রতিরোধ্য পুনরুত্থান চেষ্টা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য কতটা ঝুঁকি তৈরি করবে, তা এখনই মূল্যায়ন করা কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।