০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গু/মে/র প্রমাণ মিলেছে’

প্রায় ২০০টি গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
রোববার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক বিচারপতি, সচিব, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যসহ মোট ১৯ জনকে হাজির করা হয়। আদালত আগামী ২০ জুলাই তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী।

তিনি আরও বলেন, “তদন্তে এমন সব সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।” ভিকটিমদের সাক্ষ্যগ্রহণের পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজ ও ড্রোন ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে তা পর্যালোচনা করে মামলাটি প্রসিকিউশনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। এরপর অভিযোগ গঠন, শুনানি এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গু/মে/র প্রমাণ মিলেছে’

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

প্রায় ২০০টি গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
রোববার (২০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক বিচারপতি, সচিব, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যসহ মোট ১৯ জনকে হাজির করা হয়। আদালত আগামী ২০ জুলাই তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী।

তিনি আরও বলেন, “তদন্তে এমন সব সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।” ভিকটিমদের সাক্ষ্যগ্রহণের পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজ ও ড্রোন ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে তা পর্যালোচনা করে মামলাটি প্রসিকিউশনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। এরপর অভিযোগ গঠন, শুনানি এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।