
নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার এবং সেখানে একটি ইহুদি মন্দির প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরাইলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে, জানিয়ে দিয়েছে যে, হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
শনিবার আল-জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় এক্স (পূর্বতন টুইটার) প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট দিয়ে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা বলেছে, “আমরা আল-আকসা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনাকে ইসলামিক ও খ্রিষ্টানদের পবিত্র স্থানে পদ্ধতিগত উস্কানির অংশ হিসেবে দেখছি।” তারা আরও জানায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে এই উস্কানির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইসরাইলি অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা প্রায়ই মুসলমানদের এই পবিত্র স্থানে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। যদিও সেখানে মুসলিমদের প্রার্থনা ছাড়া অন্য কোনো ধর্মীয় আচার পালন নিষিদ্ধ, তবুও তারা সেখানে ধর্মীয় আচার পালন করে থাকে। এই কার্যকলাপে তাদের সরাসরি সহায়তা দেয় দখলদার ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।
এই অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত জমিতে জোরপূর্বক বসবাস করে এবং ইসরাইলি সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা পায়।
গত সপ্তাহেও, কয়েক ডজন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করে ধর্মীয় আচার পালন করেছে, যা চুক্তির বিরুদ্ধে।
জেরুজালেমের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চুক্তি অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অমুসলিমদের ধর্মীয় আচার পালন নিষিদ্ধ। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল আল-আকসাকে নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। চুক্তি অনুযায়ী, মুসলিমরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারেন, কিন্তু ইহুদিদের শুধুমাত্র প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, প্রার্থনা করার নয়। তবুও, তারা সেখানে ‘টেম্পল মাউন্টে’ প্রার্থনা চালিয়ে থাকে।