০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের বিরুদ্ধে গভীর ষ/ড়/যন্ত্র, মা/র্কিন বিমানে কী আসছে ই/স/রা/য়েলে?

আলোচনার আড়ালে ইরানে হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আমেরিকা ৯ বিমান ভর্তি করে ইসরায়েলে এনে জড়ো করেছে শক্তিশালী বোমা। আর মাটির কয়েকশো ফুট গভীরে থাকা ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে নিশানা করেই যে এসব বিধ্বংসী বোমা আনা হচ্ছে সেটা অনেকটাই স্পষ্ট।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী মাস নাগাদই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দেশটিতে হামলা চালাতে মহড়া ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই নাকি ইরানে হামলা চালানো হবে। তবে এতে মার্কিনিদের সম্মতিও যে রয়েছে সেটা ফাঁস হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা পাঠানোর ঘটনাতেই।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকার ৯টি ট্রান্সপোর্ট বিমান তেল আবিবের কাছে নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেসব বিমান বোঝাই ছিল বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমায়। ট্রাম্পের পাঠানো এসব বিমানে ইসরায়েলের জন্য ছিল প্রতিরক্ষার বিভিন্ন অস্ত্র। ওয়াশিংটন-তেহরান আলোচনা ব্যর্থ হলে সম্ভাব্য হামলার জন্য এসব বোমা এনে জড়ো হচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশটিতে।

তবে শুধু আলোচনা ব্যর্থ হলেই নয় বরং ফলাফল যাই হোক না কেন, আগামী মাস নাগাদই ইরানে হামলার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর নেতানিয়াহু। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর পরপরই টাইমস অফ ইসরায়েল জানায়, ট্রাম্প পিছু হটলেও হামলার সিদ্ধান্তে অটল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই আগামী মাসে ইরানে হামলা করবে নেতানিয়াহুর বাহিনী। সেই মোতাবেক ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে নিশানা করে হামলার প্রস্তুতিমূলক মহড়া সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে ইসরায়েলের এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সমর্থন আছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি গণমাধ্যমগুলো।

বিশ্লেষকরা বলছেন মার্কিন প্রতিরক্ষার নিশ্চয়তা ছাড়া ইরানে হামলার দুঃসাহস কখনোই করবে না নেতানিয়াহু। ইরানের সাথে মার্কিন আলোচনা নিয়ে বরাবরই কট্টর অবস্থানে নেতানিয়াহু। কিছুদিন আগেও তিনি জানান, আলোচনা নয় বরং ইরানের পরমাণু অস্ত্র ঠেকাতে একমাত্র পথই হল হামলায় সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশটিতে হামলা চালাতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একের পর এক পরিকল্পনাও পাঠানো হচ্ছে। আর এমন সব ঘটনায় ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা আসলেই লোক দেখানো কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ দলগুলোর নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এমন কূটচালের বিষয়ের সাথে পরিচিত।

প্রথম দফায় আলোচনার পরও তাই খামেনি জানান, মাঝপথেও যেকোনো অজুহাতে তা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই আলোচনার মধ্যেও বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। আর ইরানে কোনো হামলা হলে তার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ হবে সেসব নিয়েও সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদের।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের বিরুদ্ধে গভীর ষ/ড়/যন্ত্র, মা/র্কিন বিমানে কী আসছে ই/স/রা/য়েলে?

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

আলোচনার আড়ালে ইরানে হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। আমেরিকা ৯ বিমান ভর্তি করে ইসরায়েলে এনে জড়ো করেছে শক্তিশালী বোমা। আর মাটির কয়েকশো ফুট গভীরে থাকা ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে নিশানা করেই যে এসব বিধ্বংসী বোমা আনা হচ্ছে সেটা অনেকটাই স্পষ্ট।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী মাস নাগাদই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দেশটিতে হামলা চালাতে মহড়া ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই নাকি ইরানে হামলা চালানো হবে। তবে এতে মার্কিনিদের সম্মতিও যে রয়েছে সেটা ফাঁস হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা পাঠানোর ঘটনাতেই।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকার ৯টি ট্রান্সপোর্ট বিমান তেল আবিবের কাছে নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেসব বিমান বোঝাই ছিল বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমায়। ট্রাম্পের পাঠানো এসব বিমানে ইসরায়েলের জন্য ছিল প্রতিরক্ষার বিভিন্ন অস্ত্র। ওয়াশিংটন-তেহরান আলোচনা ব্যর্থ হলে সম্ভাব্য হামলার জন্য এসব বোমা এনে জড়ো হচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশটিতে।

তবে শুধু আলোচনা ব্যর্থ হলেই নয় বরং ফলাফল যাই হোক না কেন, আগামী মাস নাগাদই ইরানে হামলার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর নেতানিয়াহু। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর পরপরই টাইমস অফ ইসরায়েল জানায়, ট্রাম্প পিছু হটলেও হামলার সিদ্ধান্তে অটল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই আগামী মাসে ইরানে হামলা করবে নেতানিয়াহুর বাহিনী। সেই মোতাবেক ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে নিশানা করে হামলার প্রস্তুতিমূলক মহড়া সম্পন্ন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে ইসরায়েলের এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সমর্থন আছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি গণমাধ্যমগুলো।

বিশ্লেষকরা বলছেন মার্কিন প্রতিরক্ষার নিশ্চয়তা ছাড়া ইরানে হামলার দুঃসাহস কখনোই করবে না নেতানিয়াহু। ইরানের সাথে মার্কিন আলোচনা নিয়ে বরাবরই কট্টর অবস্থানে নেতানিয়াহু। কিছুদিন আগেও তিনি জানান, আলোচনা নয় বরং ইরানের পরমাণু অস্ত্র ঠেকাতে একমাত্র পথই হল হামলায় সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশটিতে হামলা চালাতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একের পর এক পরিকল্পনাও পাঠানো হচ্ছে। আর এমন সব ঘটনায় ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা আসলেই লোক দেখানো কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ দলগুলোর নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এমন কূটচালের বিষয়ের সাথে পরিচিত।

প্রথম দফায় আলোচনার পরও তাই খামেনি জানান, মাঝপথেও যেকোনো অজুহাতে তা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই আলোচনার মধ্যেও বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। আর ইরানে কোনো হামলা হলে তার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ হবে সেসব নিয়েও সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদের।