০৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অজানা কারণে শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাভিসা বাতিল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা, তবে বাংলাদেশি, চীনা, নেপালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরাও এই তালিকায় রয়েছেন।

আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (AILA)–এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুধু গত কয়েক মাসেই ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকই ভারতীয়, ১৪ শতাংশ চীনা এবং বাকিরা বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক।

এভাবে হঠাৎ ভিসা বাতিলের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।

এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) বিভাগ। জানা গেছে, তারা গত চার মাস ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করছে এবং এতে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই প্রযুক্তির ভুল বিশ্লেষণের কারণে অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীও ভিসা বাতিলের শিকার হচ্ছেন – যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ বা নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ নেই। এমনকি যারা ফিলিস্তিনপন্থী কোনো বিক্ষোভেও অংশ নেননি, তারাও এই প্রক্রিয়ার আওতায় পড়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মার্চে জানান, তারা এখন ‘ধর এবং বাতিল করো’ নীতিতে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে— দেখা হচ্ছে, তারা ইহুদি বিরোধী কিছু বলছেন কি না বা হামাসের মতো সংগঠনকে সমর্থন দিচ্ছেন কি না।

বাতিল হওয়া ৩৭২ শিক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরই ছিল F-1 ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরেরও বেশি সময় কাজ করার সুযোগ দেয়। এখন যেহেতু তাদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তারা আর কাজের অনুমতিও পাচ্ছেন না।

সবচেয়ে বেশি ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, মিশিগান এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!

আপডেট সময়ঃ ০৬:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অজানা কারণে শত শত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাভিসা বাতিল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা, তবে বাংলাদেশি, চীনা, নেপালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরাও এই তালিকায় রয়েছেন।

আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (AILA)–এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুধু গত কয়েক মাসেই ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকই ভারতীয়, ১৪ শতাংশ চীনা এবং বাকিরা বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক।

এভাবে হঠাৎ ভিসা বাতিলের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।

এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) বিভাগ। জানা গেছে, তারা গত চার মাস ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করছে এবং এতে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই প্রযুক্তির ভুল বিশ্লেষণের কারণে অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীও ভিসা বাতিলের শিকার হচ্ছেন – যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ বা নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ নেই। এমনকি যারা ফিলিস্তিনপন্থী কোনো বিক্ষোভেও অংশ নেননি, তারাও এই প্রক্রিয়ার আওতায় পড়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মার্চে জানান, তারা এখন ‘ধর এবং বাতিল করো’ নীতিতে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে— দেখা হচ্ছে, তারা ইহুদি বিরোধী কিছু বলছেন কি না বা হামাসের মতো সংগঠনকে সমর্থন দিচ্ছেন কি না।

বাতিল হওয়া ৩৭২ শিক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরই ছিল F-1 ভিসা, যা যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরেরও বেশি সময় কাজ করার সুযোগ দেয়। এখন যেহেতু তাদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তারা আর কাজের অনুমতিও পাচ্ছেন না।

সবচেয়ে বেশি ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, মিশিগান এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে।