দিনাজপুরের বিরামপুরে দুর্ঘটনায় নিহত যুবকের মরদেহ কবর থেকে তোলা হলো। গত ২ মাস ১০ দিন আগে নিহত যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পরে নিহতের স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিরামপুর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার। এসময় তিনি জানান, ময়না তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহত ব্যক্তি বেলাল হোসেন (৫০) বিরামপুর উপজেলার মন্দিরা গ্রামের অছির উদ্দিনের ছেলে।
দাফনের ২ মাস ১০দিন পর আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি সুমন কুমার মহন্ত।
ঘটনা ও মামলার বরাত দিয়ে বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বেলাল হোসেন তাঁর দুই বন্ধুসহ মোটরসাইকেলযোগে বেড়াতে বের হন। রাতে তার স্ত্রীর কাছে ফোনে জানানো হয় যে, বেলাল হোসেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত বেলালকে প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রাতেই রংপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে ১ মার্চ সকালে তার মৃত্যু ঘটে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি দুর্ঘটনা হিসাবে ধরে নিয়ে ওই দিনই সুরতহাল ছাড়া ওই গ্রামের মন্দিরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে এটিকে হত্যাকান্ড সন্দেহ করে নিহতের স্ত্রী রীনা পারভিন গত ৩০ মার্চ আদালতে মামলা করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য আদালত কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।