১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ধানের আবাদ কমবে সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে

দেশের চাল উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার তথ্য দিয়েছে ইউএসডিএ। গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রিকালচার প্রডাকশন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এবার সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ কমতে পারে। গত অর্থ বছরে তিন মৌসুম মিলে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে, যা চলতি অর্থ বছরে এক কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নামতে পারে। এ কারণে গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে চালের উৎপাদন কমতে পারে প্রায় চার লাখ টন।
সার্বিক বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উৎপাদনের তথ্যবিভ্রাটের বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি সব পর্যায়ের তথ্যকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার। তবে দেশে যেন কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি না হয় সে জন্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছে।

আগামী বোরো মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে নিরবচ্ছিন্নভাবে উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বীজ, সার ও সেচের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। সার আমদানি বাড়াতে আমরা সম্ভাব্য সব দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি সার নিয়ে কোনো ধরনের সংকট হবে না।’
এদিকে দেশে গত অর্থবছরের চাল উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে তথ্য জানিয়েছে, তার সঙ্গে মার্কিন কৃষি বিভাগের হিসাবের বড় গরমিল রয়েছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাবে বিবিএস দেশে চালের উৎপাদন দেখিয়েছে চার কোটি ছয় লাখ ৯৮ হাজার টন। অন্যদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগ বলছে, চালের এই উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৭০ লাখ টন। এই তথ্যে চাল উৎপাদনে ৩৭ লাখ টনের গরমিল রয়েছে।
আবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের ৮ জানুয়ারি দেশে চালের মজুদ ছিল প্রায় ১৪ লাখ টন। চলতি বছর একই সময়ে এই মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট লাখ তিন হাজার টনে।
এক বছরের ব্যবধানে চালের মজুদ কমেছে প্রায় পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার টন। বিবিএসের তথ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য নির্ভরযোগ্য হয় কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিবিএসের তথ্য গরমিলের বিষয়টি কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসহ সব ক্ষেত্রেই রয়েছে। গত বছর ২৭ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সেবা বিভাগের (এফএএস) ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্ন্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) বিশ্বব্যাপী কৃষিবিষয়ক উৎপাদন, বাণিজ্য এবং বিপণন বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে। যা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

চাল উৎপাদনের গরমিল বিষয়ে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েক দশক ধরেই ডিএই ও বিবিএসের মধ্যে উৎপাদনের তথ্য পার্থক্য সীমাহীন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন প্রতিবছর বাড়িয়ে দেখানোটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি অপসংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তাদের উৎপাদনের তথ্য কেতাবে থাকলেও গুদামে নেই।

এই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা কাজটি দুটি কারণে করেন, এক. সরকারকে বেশি উৎপাদনের তথ্য দিয়ে খুশি রাখা। দুই. নিজেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা অস্থায়ী নিয়োগকে পাকাপোক্ত করা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের উৎপাদনের তথ্যগত পার্থক্য দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

চালের মজুদ কমেছে

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে বেসরকারিভাবে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাল আমদানিতে যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছেন না বেসরকারি উদ্যোক্তারা। চলতি অর্থ বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি হয়েছে মাত্র এক লাখ ১৬ হাজার ৭৩২ টন। ফলে চলতি অর্থ বছরে আমদানি অনুমোদন পূরণে ঘাটতি রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন। অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭১৭ টন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আমদানি ও মজুদের এই পরিস্থিতি চালের বাজারে সরবরাহের ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আমন মৌসুমে ভালো ফলন না হওয়ায় উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। সারা দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উপকরণ সংকটে এবার আমন উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত চাল ও গমের মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ তাঁদের। আগামী বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খাদ্য শস্যের মজুদ কমলে দ্রুত সেটি পূরণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। নানা বাধা ও আস্থাহীনতায় বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাল আমদানিতে নিরুৎসাহী হতে পারে। সেই বাধা দূর করতে হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ বাড়াতে হবে। আবার বোরো মৌসুমের শুরুতে চাল আমদানি করা হলে কৃষকরা ধানের দাম পাবেন না। তাই আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি উৎপাদনের তথ্য নিয়ে বেশ সন্দিহান। বিবিএস উৎপাদনের যে তথ্য দিচ্ছে, সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য তথ্য নয়। কৃষি পণ্যের অতিরঞ্জিত তথ্য প্রদান চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।’

 

ট্যাগ

দেশে ধানের আবাদ কমবে সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে

আপডেট সময়ঃ ০১:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের চাল উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার তথ্য দিয়েছে ইউএসডিএ। গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রিকালচার প্রডাকশন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এবার সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ কমতে পারে। গত অর্থ বছরে তিন মৌসুম মিলে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে, যা চলতি অর্থ বছরে এক কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নামতে পারে। এ কারণে গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে চালের উৎপাদন কমতে পারে প্রায় চার লাখ টন।
সার্বিক বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উৎপাদনের তথ্যবিভ্রাটের বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি সব পর্যায়ের তথ্যকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার। তবে দেশে যেন কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি না হয় সে জন্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছে।

আগামী বোরো মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে নিরবচ্ছিন্নভাবে উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বীজ, সার ও সেচের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। সার আমদানি বাড়াতে আমরা সম্ভাব্য সব দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি সার নিয়ে কোনো ধরনের সংকট হবে না।’
এদিকে দেশে গত অর্থবছরের চাল উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে তথ্য জানিয়েছে, তার সঙ্গে মার্কিন কৃষি বিভাগের হিসাবের বড় গরমিল রয়েছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাবে বিবিএস দেশে চালের উৎপাদন দেখিয়েছে চার কোটি ছয় লাখ ৯৮ হাজার টন। অন্যদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগ বলছে, চালের এই উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৭০ লাখ টন। এই তথ্যে চাল উৎপাদনে ৩৭ লাখ টনের গরমিল রয়েছে।
আবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের ৮ জানুয়ারি দেশে চালের মজুদ ছিল প্রায় ১৪ লাখ টন। চলতি বছর একই সময়ে এই মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট লাখ তিন হাজার টনে।
এক বছরের ব্যবধানে চালের মজুদ কমেছে প্রায় পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার টন। বিবিএসের তথ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য নির্ভরযোগ্য হয় কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিবিএসের তথ্য গরমিলের বিষয়টি কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসহ সব ক্ষেত্রেই রয়েছে। গত বছর ২৭ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কৃষি সেবা বিভাগের (এফএএস) ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্ন্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) বিশ্বব্যাপী কৃষিবিষয়ক উৎপাদন, বাণিজ্য এবং বিপণন বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে। যা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

চাল উৎপাদনের গরমিল বিষয়ে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েক দশক ধরেই ডিএই ও বিবিএসের মধ্যে উৎপাদনের তথ্য পার্থক্য সীমাহীন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন প্রতিবছর বাড়িয়ে দেখানোটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি অপসংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। তাদের উৎপাদনের তথ্য কেতাবে থাকলেও গুদামে নেই।

এই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা কাজটি দুটি কারণে করেন, এক. সরকারকে বেশি উৎপাদনের তথ্য দিয়ে খুশি রাখা। দুই. নিজেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা অস্থায়ী নিয়োগকে পাকাপোক্ত করা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের উৎপাদনের তথ্যগত পার্থক্য দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

চালের মজুদ কমেছে

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে বেসরকারিভাবে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাল আমদানিতে যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছেন না বেসরকারি উদ্যোক্তারা। চলতি অর্থ বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি হয়েছে মাত্র এক লাখ ১৬ হাজার ৭৩২ টন। ফলে চলতি অর্থ বছরে আমদানি অনুমোদন পূরণে ঘাটতি রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টন। অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭১৭ টন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আমদানি ও মজুদের এই পরিস্থিতি চালের বাজারে সরবরাহের ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আমন মৌসুমে ভালো ফলন না হওয়ায় উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। সারা দেশেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উপকরণ সংকটে এবার আমন উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত চাল ও গমের মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ তাঁদের। আগামী বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ কেনেডি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খাদ্য শস্যের মজুদ কমলে দ্রুত সেটি পূরণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। নানা বাধা ও আস্থাহীনতায় বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাল আমদানিতে নিরুৎসাহী হতে পারে। সেই বাধা দূর করতে হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ বাড়াতে হবে। আবার বোরো মৌসুমের শুরুতে চাল আমদানি করা হলে কৃষকরা ধানের দাম পাবেন না। তাই আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি উৎপাদনের তথ্য নিয়ে বেশ সন্দিহান। বিবিএস উৎপাদনের যে তথ্য দিচ্ছে, সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য তথ্য নয়। কৃষি পণ্যের অতিরঞ্জিত তথ্য প্রদান চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে।’