জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৪ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক মাস্টারকে হত্যার পর আসামি জুয়েল হাওলাদার প্রায় ১৪ বছর পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Play Video

এর আগে ভোরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করেছে। জুয়েল রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি ঘটনার দিন থেকে ১৩ বছর ১০ মাস ১৬ দিন পলাতক ছিলেন।

Play Video

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনার পর পরই জুয়েল গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ঢাকার আশুলিয়া গিয়ে গা ঢাকা দেয়। সেখানে নিজেকে মজিবুর রহমান পরিচয় দিয়ে প্রথমে একটি মুদি দোকানে চাকরি নেয়। ২ বছর পর সেখানকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি শুরু করেন তিনি। আদালতের রায়ের পর র‌্যাব তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। অবশেষে হত্যা মামলার রায়ের ২ মাস ২৪ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক মাস্টার হত্যা মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আজিজুল হক। এতে জুয়েলকে মৃত্যুদণ্ড ও মাহবুব মাফু নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু রায়ের সময় এ দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় তখন আরও ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

Play Video

এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েলকে র‌্যাব গ্রেফতার করলেও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মাহবুব এখনো পলাতক রয়েছেন। পলাতক মাহবুব রামগতির সেবাগ্রামের মৃত মানিক হাওলাদারের ছেলে।

Play Video

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হক আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের হাজী আবদুল কাদেরের ছেলে। আসামিদের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আসামিরা ২০০৯ সালের ২৩ জুন দুপুরে ওই জমি থেকে মাটি কাটছিল। এ সময় বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশী আলাউদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে অভিযুক্তরা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় জবিউল হকের ভাই হাজী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২১ মে লক্ষ্মীপুর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহাম্মদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

Play Video

Play Video

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button