
বর্তমানে বেড়েছে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রবণতা। বিবাহিত জীবনে সুখে থাকার অভিনয় করে অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছেন মানুষ। তার জেরে ভাঙছে সংসার, বাড়ছে পালিয়ে যাওয়া কিংবা অপরাধমূলক কাজের হার।
সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে পুরুষের তুলনায় নারীরাই পরকীয়ায় (Extramarital affair) জড়াচ্ছেন বেশি। কখনও পুরুষের নির্যাতন, কখনোবা একঘেয়েমি দূর করতে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তারা। ২০২৪ সালে একটি সমাজসেবী সংস্থার মালিক পিয়াজা জেনিফার নারীদের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। সেখানেই উঠে এসেছে পরকীয়ার পাঁচটি কারণ। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ
সমীক্ষা বলছে, নারীদের একাংশ নিজেদের অনুভূতি মুখে প্রকাশ না ভেতরে-ভেতরে অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন। তারা নিজেদের অনুভূতি আটকাতে পারেন না। কখন কাকে ভালো লাগে, কখন কার সঙ্গ চান তা নিজেও বুঝতে পারেন না। আর এই কারণেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
একঘেয়েমি
বহুদিন ধরে এক সঙ্গে থাকতে থাকতে সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে আসে। অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘সম্পর্ক এখন ভাই-বোনের মতো হয়ে গেছে’। এ কথার অর্থ হলো দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকতে-থাকতে সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই পুরনো অনুভূতিকে আবার নতুন করে ঝালিয়ে নিতেই নারীদের কেউ কেউ জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়।
ডেটিং অ্যাপ
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ডেটিং অ্যাপ রয়েছে। সেখানে বিভিন্নভাবে চ্যাটিং করতে-করতে অনেকে জড়িয়ে পড়েন সম্পর্কে।
সংসারের কাজে ক্ষোভ
এখনকার দিনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ব্যস্ত জীবন পার করেন। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত থাকার কারণে তাদের যৌন ইচ্ছা কমে যায়। জীবনে চলে আসে একঘেয়েমি। অন্যদিকে, কর্মরত নারীরা আশা করেন তাদের স্বামীও বিভিন্ন ঘরকন্নার কাজে সাহায্য করবেন। কিন্তু অনেকাংশেই দেখা যায় পুরুষরা তা করেন না। ফলে সংসারের প্রতি ক্ষোভ জমে নারীর মনে। আর তা থেকে বেরিয়ে আসতে পরকীয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
পরকীয়ার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি। এখন বেশিরভাগ সময়ই মানুষ কাটান নিজেদের কর্মস্থলে। অনেকেই নিজের সহকর্মীর সঙ্গে জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করে থাকেন। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে একে অপরের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয়। ঝোঁক বাড়ে পরকীয়ার।