

দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের যুগলবন্দিতে মাঠ ছাড়ার আগে যা করলেন গ্রাহাম ক্লার্ক, তা এককথায় অনবদ্য। সালমান ইরশাদের বলে লং অনে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে করেছেন বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ড ব্যাটারের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে চিটাগাং কিংস।
ব্যাটিং স্বর্গ নামে পরিচিত জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের অ্যাডভান্টেজটাই কাজে লাগালেন ক্লার্ক।
ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই খুলনা টাইগার্সের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। চার-ছক্কায় হাঁকিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের স্বস্তিই দিচ্ছিলেন না তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ইরশাদের করা বলকে পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে সেঞ্চুরি করার পর যে উদযাপনটা করলেন তাতেই প্রমাণ পাওয়া যায় ম্যাচে কতটা দাপট দেখিয়েছেন ক্লার্ক।
তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পরেই এক হাতে হেলমেট ও অন্য হাতে ব্যাট উঁচিয়ে ধরে ক্লার্ক যেন জানান দিলেন তার দুই বাহুর শক্তি।
ঠিক যেমন কোনো যোদ্ধা যুদ্ধ জয়ের পর করে থাকেন। ৪৮ বলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর অবশ্য ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ৫০ বলে ১০১ রানে থেমেছেন। ২০২.০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৬ ছক্কায়।
বিপিএলে নিজের প্রথম হলেও এবারে টুর্নামেন্টে ক্লার্ক ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন। তার আগে এবারের বিপিএলে এই কীর্তি গড়েছেন উসমান খান, থিসারা পেরেরা, অ্যালেক্স হেলস, লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তার সেঞ্চুরিটি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ছন্দেরই ফসল। সর্বশেষ ম্যাচে ৬০ রানের ইনিংস খেলার আগের দুই ইনিংস ছিল যথাক্রমে ৩৯ ও ৪০ রানের।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করার পথে দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়েন ক্লার্ক।
৪ ছক্কায় ইমন ৩৯ রানে আউট হওয়ায় তাদের সেই জুটি ভেঙে যায়। পরে তার সেঞ্চুরিতেই ২০০ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগাং। তবে ক্লার্ক আউট হওয়ার পর রানের গতিটা ধরে রাখতে পারেনি চিটাগাংয়ের ব্যাটাররা। অন্যথা স্কোরটা আরো বড় হতো। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পাকিস্তানি বোলার ইরশাদ-নওয়াজ।