১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কারও নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ দায়ের করেন তারই যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়ের শেষে স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, নিজেদের উদ্যোগে মুগ্ধ হত্যার প্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিকের মাধ্যমে চেহারা ঠিক করে আইনের আওতায় আনতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।

তিনি বলেন, অভিযোগে এখনো কারো নাম মেনশন করা হয়নি। এখন শুধু অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করলে অপরাধীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মীর মুগ্ধ। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে গণিতে স্নাতক পাসের পর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এ এমবিএ করছিলেন। মৃত্যুর সময় তার গলায় রক্তমাখা বিইউপির আইডি কার্ড ছিল।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অনলাইনে মুগ্ধের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একজন যুবক ‘পানি লাগবে ভাই, পানি?’ বলে বিক্ষোভকারীদের মাঝে পানি বিতরণ করছেন। পরে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ নামের ওই যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। মূলত জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধের মৃত্যুর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, আন্দোলনে সর্বসাধারণের সম্পৃক্ততা ঘটে।

মুগ্ধর বাবার নাম মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও মায়ের নাম শাহানা চৌধুরী। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও মুগ্ধ ছিলেন যমজ।

ট্যাগ

মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের

আপডেট সময়ঃ ০৮:১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কারও নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ দায়ের করেন তারই যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়ের শেষে স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, নিজেদের উদ্যোগে মুগ্ধ হত্যার প্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিকের মাধ্যমে চেহারা ঠিক করে আইনের আওতায় আনতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।

তিনি বলেন, অভিযোগে এখনো কারো নাম মেনশন করা হয়নি। এখন শুধু অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করলে অপরাধীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মীর মুগ্ধ। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে গণিতে স্নাতক পাসের পর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এ এমবিএ করছিলেন। মৃত্যুর সময় তার গলায় রক্তমাখা বিইউপির আইডি কার্ড ছিল।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অনলাইনে মুগ্ধের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, একজন যুবক ‘পানি লাগবে ভাই, পানি?’ বলে বিক্ষোভকারীদের মাঝে পানি বিতরণ করছেন। পরে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ নামের ওই যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। মূলত জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধের মৃত্যুর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, আন্দোলনে সর্বসাধারণের সম্পৃক্ততা ঘটে।

মুগ্ধর বাবার নাম মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও মায়ের নাম শাহানা চৌধুরী। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও মুগ্ধ ছিলেন যমজ।