

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের মরদেহ ৬ মাস পর শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার আনন্দ বাজার গণ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়, পরে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত জালাল উদ্দিন সখিপুর ইউনিয়নের আনু সরকার কান্দি এলাকার বাসিন্দা মৃত মোহসন রাড়ীর ছেলে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা মানিকনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের মরদেহ পরে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত জালালের স্ত্রী মলি ২০ নভেম্বর মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইয়ুম জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের সহিংসতার কারণে পুলিশ এবং চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন না, তাই মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়, যা পরে অনুমোদন পায়।
শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।