১১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে কুন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুতায় ব্যবহৃত একটি কুন প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বউ বাজার শান্তিনগর এলাকায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নূর আলমের মালিকানাধীন কুন কারখানায় লাগা আগুন পরে পাশের চারটি গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে মণ্ডলপাড়া ও হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু বলে জানানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তবে শুরুর দিকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এসময় দ্রুত পানি ফুরিয়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। পরে আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে পুনরায় জানানো হলে আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
শরীফ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, সকাল সাতটার দিকে নূর আলমের মালিকানাধীন একটি কুন কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটি পাশের গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের চারটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানা ও গোডাউনগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার শুরুর দিকে কুন কারখানার কিছু মালামাল অক্ষত উদ্ধার করা হয় বলে জানান শরীফ।
আলমগীর নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, গোডাউনে গার্মেন্ট ওয়েস্টেজ এলডি পলিথিন ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। গোডাউনে তার পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী। এছাড়াও মুসলিম, বাবুল, হাশেম নামে আরো তিন জন ব্যাবসায়ীর তিনটি ওয়েস্টেজ গোডাউন আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্থানীয় দু’জন স্বেচ্ছাসেবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম জিহাদ। অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলে এসে আমরা দেখেছি, রেজিন, প্যাকিংবক্স, কুনিং এবং কেমিকেলসহ বিভিন্ন উপাদান এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। সেই সঙ্গে আগুনের ভয়াবহতা ছিল অনেক। আমাদের ছয়টা ইউনিট দ্রুত আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করেছি। শুরুতে পানির অনেক সংকট ছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পানির ব্যবস্থা করি। সাড়ে নয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।

ট্যাগ

নারায়ণগঞ্জে কুন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আপডেট সময়ঃ ০১:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুতায় ব্যবহৃত একটি কুন প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বউ বাজার শান্তিনগর এলাকায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নূর আলমের মালিকানাধীন কুন কারখানায় লাগা আগুন পরে পাশের চারটি গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে মণ্ডলপাড়া ও হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু বলে জানানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তবে শুরুর দিকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এসময় দ্রুত পানি ফুরিয়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। পরে আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে পুনরায় জানানো হলে আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
শরীফ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, সকাল সাতটার দিকে নূর আলমের মালিকানাধীন একটি কুন কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটি পাশের গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের চারটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানা ও গোডাউনগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার শুরুর দিকে কুন কারখানার কিছু মালামাল অক্ষত উদ্ধার করা হয় বলে জানান শরীফ।
আলমগীর নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, গোডাউনে গার্মেন্ট ওয়েস্টেজ এলডি পলিথিন ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। গোডাউনে তার পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী। এছাড়াও মুসলিম, বাবুল, হাশেম নামে আরো তিন জন ব্যাবসায়ীর তিনটি ওয়েস্টেজ গোডাউন আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্থানীয় দু’জন স্বেচ্ছাসেবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম জিহাদ। অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলে এসে আমরা দেখেছি, রেজিন, প্যাকিংবক্স, কুনিং এবং কেমিকেলসহ বিভিন্ন উপাদান এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। সেই সঙ্গে আগুনের ভয়াবহতা ছিল অনেক। আমাদের ছয়টা ইউনিট দ্রুত আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করেছি। শুরুতে পানির অনেক সংকট ছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পানির ব্যবস্থা করি। সাড়ে নয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।