

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় চুরি করা গরু দিয়ে ভূরিভোজের আয়োজনের ঘটনায় স্বামী বিএনপি নেতা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর পদ হারানোর তিন দিন পর স্ত্রী মহিলা দল নেত্রী স্ত্রী লায়লা খাতুন ইতিও দলীয় পদ হারালেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক সুলতানা বেগমের স্বাক্ষরিত এক পত্রে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে সাত দিনের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এর আগে গত শনিবার উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির নেতা মাহমুদুল হাসান ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের নেত্রী লায়লা খাতুন ইতি চুরির গরু দিয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে ভূরিভোজের আয়োজন করেন।
পরে এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা হলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানকে বহিষ্কার করা হয়। পরে এরার তার স্ত্রী ইতিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ভোজের বিরিয়ানি রান্নার জন্য (১০ জানুয়ারি) শুক্রবার রাতে উপজেলার জোরখালী ইউনিয়নের খামারমাগুরা এলাকার এক কৃষকের গরু চুরি করে জবাই করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে কয়েকজন কর্মীর সহায়তায় বিএনপি নেতা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী নিজেই গরুটি জবাই করেন।
পরে ওই গরুর মাংস দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করা হয় ও আংশিক মাংস রেখে দেওয়া হয়। এরপর প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সহায়তায় গরুর চামড়াসহ একই এলাকার কসাই বজলু প্রামাণিককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গরুর মালিক।
বিষয়টি জানাজানি হলে মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী ও তার স্ত্রী লায়লা খাতুন ইতি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।