১২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইফউদ্দিনের শেষ ওভারের রোমাঞ্চে রংপুরের সাতে সাত

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রানের প্রয়োজন ছিল খুলনা টাইগার্সের। এমন সমীকরণে বোলিংয়ে এসে শুরুটা দারুণ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথম দুই বলে মোহাম্মদ নওয়াজকে পরাস্ত করেন বাংলাদেশি পেসার, কোনো রান না দিয়ে। তৃতীয় বলে ওয়াইড দিলেও ফিরতি বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন নওয়াজ।
এতে শেষ ৩ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ রানের। নতুন ব্যাটার নাসুম আহমেদ পরের বলেই প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউট হন। পঞ্চম বল ফুলটাস পেয়েও আবু হায়দার রনি লং অনে ক্যাচ দিলে ম্যাচ শেষ হয়। শেষ বলে সাইফউদ্দিন এক রান দিলে ৮ রানের জয় পায় রংপুর।অথচ, আজ হারের শঙ্কায় ছিল রংপুর। সেই ম্যাচটাই কিনা হারতে হারতেও জিতে গেল তারা। যার জয়ের নায়ক সাইফউদ্দিন। এ জয়ে রংপুরের অপরাজেয় যাত্রা আরো দীর্ঘ হলো।
সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে সাতে সাত করল রংপুর।
অপরদিকে হ্যাটট্রিক হার দেখল খুলনা। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে খুলনাকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন নাঈম শেখ। কিন্তু তার ৭ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা দিতে পারেনি সতীর্থরা।

শেষ তিন ওভারে ১৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্য হার দেখল খুলনা।
যার শুরুটা করেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে ২৯ রান করা আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দিলে ১২ বলে ১৮ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। তখন ম্যাচটা খুলনার হাতেই ছিল। কেননা তাদের হাতে ৬ উইকেট ছিল। তবে ১৯তম ওভারে এসে ২ উইকেট তুলে নিয়ে রংপুরকে সপ্তম জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে দেন আকিব জাভেদ। রান দেন মাত্র ৬। পরে বাকি কাজটা করে নায়ক বনে যান সাইফউদ্দিন।
এর আগে সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে খুশদিল শাহর ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ করতে পারে রংপুর। দলের সংগ্রহে ইফতিখার আহমেদের ৪৩ ও ওপেনার তৌফিক খানের ৩৬ রানের অবদানও কম ছিল না। শেষে অবশ্য হেরে যাওয়ায় কারো অবদানই কাজে আসেনি রংপুরের।

ট্যাগ

সাইফউদ্দিনের শেষ ওভারের রোমাঞ্চে রংপুরের সাতে সাত

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রানের প্রয়োজন ছিল খুলনা টাইগার্সের। এমন সমীকরণে বোলিংয়ে এসে শুরুটা দারুণ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথম দুই বলে মোহাম্মদ নওয়াজকে পরাস্ত করেন বাংলাদেশি পেসার, কোনো রান না দিয়ে। তৃতীয় বলে ওয়াইড দিলেও ফিরতি বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন নওয়াজ।
এতে শেষ ৩ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ১০ রানের। নতুন ব্যাটার নাসুম আহমেদ পরের বলেই প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউট হন। পঞ্চম বল ফুলটাস পেয়েও আবু হায়দার রনি লং অনে ক্যাচ দিলে ম্যাচ শেষ হয়। শেষ বলে সাইফউদ্দিন এক রান দিলে ৮ রানের জয় পায় রংপুর।অথচ, আজ হারের শঙ্কায় ছিল রংপুর। সেই ম্যাচটাই কিনা হারতে হারতেও জিতে গেল তারা। যার জয়ের নায়ক সাইফউদ্দিন। এ জয়ে রংপুরের অপরাজেয় যাত্রা আরো দীর্ঘ হলো।
সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে সাতে সাত করল রংপুর।
অপরদিকে হ্যাটট্রিক হার দেখল খুলনা। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে খুলনাকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন নাঈম শেখ। কিন্তু তার ৭ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা দিতে পারেনি সতীর্থরা।

শেষ তিন ওভারে ১৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্য হার দেখল খুলনা।
যার শুরুটা করেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে ২৯ রান করা আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দিলে ১২ বলে ১৮ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। তখন ম্যাচটা খুলনার হাতেই ছিল। কেননা তাদের হাতে ৬ উইকেট ছিল। তবে ১৯তম ওভারে এসে ২ উইকেট তুলে নিয়ে রংপুরকে সপ্তম জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে দেন আকিব জাভেদ। রান দেন মাত্র ৬। পরে বাকি কাজটা করে নায়ক বনে যান সাইফউদ্দিন।
এর আগে সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে খুশদিল শাহর ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ করতে পারে রংপুর। দলের সংগ্রহে ইফতিখার আহমেদের ৪৩ ও ওপেনার তৌফিক খানের ৩৬ রানের অবদানও কম ছিল না। শেষে অবশ্য হেরে যাওয়ায় কারো অবদানই কাজে আসেনি রংপুরের।