

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম সমন্বয়ক নওসাজ্জামান। সম্প্রতি রাবির নয়টি হলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় রোববার (১২ জানুয়ারি) শাখা ছাত্রশিবিরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জানা গেছে, নওসাজ্জামান শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নওসাজ্জামানকে ট্যাগ করে রিয়াদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘তুই কি মানুষ না অন্যকিছু বন্ধু? এতোদিন তোর সাথে মিশেছি, অথচ কখনো তোর চালচলন দেখে মনেই হয়নি যে, তুই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য।’
সাইফুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রথম থেকেই আপনাকে দেখে শিবির শিবির মনে হতো। এখন দেখি, আমার মনে যা বলে, তাই ঠিক।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. নওসাজ্জামান রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটিতে তিনি প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
আরো জানা যায়, তার বাসা ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া ইউনিয়নে। আন্দোলনের সময় তিনি রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্রকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ওয়ার্ড সভাপতি, মেস জোন সভাপতি, কলা অনুষদ সভাপতি, শহীদ জিয়াউর রহমান হল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি আবাসিক হলে আল-কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্র ফেডারেশন। এছাড়া রোববার বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে।