১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান রবিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি আব্দুল হামিদ তালুকদারকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

জানা যায়, ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল নাসির উদ্দিন ও তার বাবা আবদুল হামিদ তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ২০০৭ সালের ২১ জুলাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তার রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নাসির উদ্দিন ও তার পরিবার ফাহিমা বেগমকে যৌতুকের দাবিতে জ্বালা যন্ত্রণা দিয়ে আসছে। ঘটনার তারিখ ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল ৪ টার সময় ফাহিমার বাবার বাড়িতে বসে নাসির উদ্দিন ও তার বাবা ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ফাহিমা ও তার বাবা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে নাসির উদ্দিন ফাহিমা বেগমকে নির্যাতন করে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রবিবার দুপুরে বিচারক মো. মশিউর রহমান খান নাসির উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে আসামি আবদুল হামিদ তালুকদারকে বেকসুর খালাস দেয়।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, রায়ে বাদী সন্তুষ্ট। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন রাসেল বলেন, আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করলে আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করব।

ট্যাগ

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান রবিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি আব্দুল হামিদ তালুকদারকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

জানা যায়, ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল নাসির উদ্দিন ও তার বাবা আবদুল হামিদ তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ২০০৭ সালের ২১ জুলাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তার রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নাসির উদ্দিন ও তার পরিবার ফাহিমা বেগমকে যৌতুকের দাবিতে জ্বালা যন্ত্রণা দিয়ে আসছে। ঘটনার তারিখ ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল বিকেল ৪ টার সময় ফাহিমার বাবার বাড়িতে বসে নাসির উদ্দিন ও তার বাবা ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ফাহিমা ও তার বাবা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে নাসির উদ্দিন ফাহিমা বেগমকে নির্যাতন করে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রবিবার দুপুরে বিচারক মো. মশিউর রহমান খান নাসির উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে আসামি আবদুল হামিদ তালুকদারকে বেকসুর খালাস দেয়।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, রায়ে বাদী সন্তুষ্ট। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন রাসেল বলেন, আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করলে আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করব।