হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার পইলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি দূর্গাপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কজেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বিথঙ্গল ফাড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমড়ি দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আমিন ও তার লোকজনদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়টি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের এডভোকেট আব্দুল হামিদসহ তাদের লোকজনের। দুপুরে এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়। যদিও এডভোকেট আব্দুল হামিদের দাবী, তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের বিপক্ষে একটি মানব পাচার মামলার বাদী পক্ষের উকিল। তাই এ ঘটনার জের ধরেই প্রতিপক্ষরা তিনিসহ তার লোকজনদের উপর হামলা করেছে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফজলুর রহমান, এরশাদ আলী, নজরুল ইসলাম, রায়হান আহমেদ, রাসেল মিয়া, নিম্মত আলী, মোঃ নজরুল, সাইমুদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাহিদ মিয়া, ছায়েদ মিয়া, এমদাদুল হক, উসমান মিয়া, বিজয় মিয়া, মাসুদ মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, দিপু মিয়া, সায়মন হাসান, কাশেম মিয়া, সালেক মিয়া, রেজাউল, নার্গিস আক্তার, মাহমুদুল হক, রুকন উদ্দিন, রহিছ মিয়া, রোমান মিয়া, নুরুল আমিন, সজিব আহমেদ, মুছা মিয়া, আমিনা বেগম, রায়দর মিয়া, নিহার বেগম, জেসমিন আক্তার, নিশাত রহমান, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর, জোসনা আক্তার, তরিকুল ইসলাম, কল্পনা আক্তার, জাহেরা বেগম, মোশাহিদ মিয়া, ফুল মিয়া, সেলিম, আঃ জলিল, সুফিয়া খাতুন, আবু বকর, হারিছ উল্লাহ, এমদাদুল হক, আমিনা বেগম, নাসির মিয়া, আবু ছালেক, মুক্তার আলী, নাইম উদ্দিন, কলসুমা আক্তার, ছিদ্দিক মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।