উপজেলা প্রতিনিধি

বেপরোয়া গতির কারণেই সাভারে চার প্রাণহানি, দুই চালক গ্রেফতার

সাভারে দুই বাস ও অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ ৪ আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বাস ও অ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি গভীর রাতে সড়কে তিন গাড়ির চালক অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রতিযোগিতা করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম। এর আগে আজ সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বাসচালককে এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্সের চালক জাহিদ হাসান (২১) ও শ্যামলী পরিবহণের বাসচালক জহিরুল ইসলাম (৪৪)। তাদের মধ্যে জাহিদ হাসানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার সুতি লাঙ্গলজোরা গ্রামে। অন্যদিকে, বাসচালক জহিরুল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার চাওলিয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গত বুধবার গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। এসময় পেছন থেকে ঝুমুর পরিবহণ ও শ্যামলী পরিবহনের দু’টি বাস অ্যাম্বুলেন্সটিকে পর পর ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তিনটি গাড়িতেই আগুন লেগে যায়, এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভাবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন, তার ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিক, স্ত্রী সোনিয়া আক্তার ও স্ত্রীর বড়বোন মাহফুজা আক্তার শিলা।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা ৩ গাড়ির চালকই রাস্তায় প্রতিযোগিতা করছিল কে আগে যাবে সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *