নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা ও পার্শ্ববর্তী নদীর তীরে মাটি চাপা দিয়ে লাশ গুমের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ছেলে আরমান শাহকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেফতার করেছের র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ। ঘটনার ৪৮ দিন পর তাকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো.আনোয়ার হোসেন প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় আবুল হোসেন (৫৫) কে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে তার ছেলে আরমান। পরে লাশ গুম করার জন্য বন্ধু আশিকুর রহমান আবিরকে ডেকে আনে। তারা লাশ লুকানোর বিষয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পরিকল্পনা করে। দু’জনে মিলে লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবে। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই চিন্তায় বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখা হয়। উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেয় যাতে করে লাশ পানিতে তলিয়ে যায়।
এরপর পরিবার নিখেঁজের নাটক সাজালে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে মোবাইল ট্রেকিং করে আবিরকে আটক করে। আবিরের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ৩ দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই সোহরাব শাহ (৬৩) বাদী হয়ে ভাইয়ের বখাটে ছেলে আরমান শাহ (১ম পক্ষের ছেলে) কে প্রধান আসামি করে মোহনগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার পর থেকেই মূলহোতা আরমান শাহ পলাতক ছিল।
র্যাব ময়মনসিংহ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামি ধরতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকা থেকে আরমান শাহ (২৩) কে গ্রেফতার করে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তার পিতাকে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।