০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার বোমার আগুন দাবানল হয়ে এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে!

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে বিনোদনজগতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। ঘরবাড়ি-অবকাঠামো পুড়ে এরই মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাতজন।
লস অ্যাঞ্জেলেস যখন আগুনে পুড়ছে ঠিক তেমনি আগুনে পুড়ছে সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দূরের আরেকটি শহর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। তবে সেটি পুড়ছে ইসরায়েলের টনকে টন বোমা হামলায়। এই বোমার সিংহভাগই সরবরাহ করে আমেরিকা। আর তাই এ নিয়ে আমেরিকান নাগরিকসহ অনেকের মধ্যে রব উঠেছে, ‘গাজার আগুন দাবানল হয়ে ফিরে এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে’। স্যোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্ট করেছেন অনেকেই।
মিডল ইস্ট আই, টাইমস অব ইসরায়েল এবং লন্ডনভিত্তিক দ্য নিউঅ্যারাব ডটকম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে অনেকে ভয়াবহ দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসের ধ্বংস এবং বাস্তুচ্যুতির অভিজ্ঞতাকে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের অবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে অনেকে এও বলছেন যে, গাজার সেই আগুন আমেরিকায় আমাদের বাড়িঘরে ফিরে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমেরিকানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেসের ১৮ মিলিয়ন ডলার বাজেট কমিয়ে দেওয়া এবং ইসরায়েলের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ এলদিন এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের বাজেট ১৭.৬ মিলিয়ন ডলার কমানো হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য মার্কিন বাজেট ২৩ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েল আরও ৮ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে।
বামপন্থী কর্মী গোষ্ঠী কোড পিঙ্ক তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছে, ‘যখন মার্কিন ট্যাক্স গাজায় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে, সেই আগুন যখন ঘরে ফিরে আসে তখন আমরা অবাক হই না।’

ট্যাগ

গাজার বোমার আগুন দাবানল হয়ে এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে!

আপডেট সময়ঃ ০৩:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে বিনোদনজগতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। ঘরবাড়ি-অবকাঠামো পুড়ে এরই মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাতজন।
লস অ্যাঞ্জেলেস যখন আগুনে পুড়ছে ঠিক তেমনি আগুনে পুড়ছে সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দূরের আরেকটি শহর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। তবে সেটি পুড়ছে ইসরায়েলের টনকে টন বোমা হামলায়। এই বোমার সিংহভাগই সরবরাহ করে আমেরিকা। আর তাই এ নিয়ে আমেরিকান নাগরিকসহ অনেকের মধ্যে রব উঠেছে, ‘গাজার আগুন দাবানল হয়ে ফিরে এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসে’। স্যোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে পোস্ট করেছেন অনেকেই।
মিডল ইস্ট আই, টাইমস অব ইসরায়েল এবং লন্ডনভিত্তিক দ্য নিউঅ্যারাব ডটকম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে অনেকে ভয়াবহ দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসের ধ্বংস এবং বাস্তুচ্যুতির অভিজ্ঞতাকে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের অবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে অনেকে এও বলছেন যে, গাজার সেই আগুন আমেরিকায় আমাদের বাড়িঘরে ফিরে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আমেরিকানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেসের ১৮ মিলিয়ন ডলার বাজেট কমিয়ে দেওয়া এবং ইসরায়েলের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ এলদিন এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের বাজেট ১৭.৬ মিলিয়ন ডলার কমানো হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য মার্কিন বাজেট ২৩ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েল আরও ৮ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে।
বামপন্থী কর্মী গোষ্ঠী কোড পিঙ্ক তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছে, ‘যখন মার্কিন ট্যাক্স গাজায় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে, সেই আগুন যখন ঘরে ফিরে আসে তখন আমরা অবাক হই না।’