০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে

হিমালয়সংলগ্ন হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। তবে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কমে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ, যা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড় জেলা। সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

অন্যদিকে, তীব্র শীত ও আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী উত্তরের জেলা পঞ্চগড় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

ট্যাগ

তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে

আপডেট সময়ঃ ১২:২০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

হিমালয়সংলগ্ন হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। তবে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কমে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ, যা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড় জেলা। সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

অন্যদিকে, তীব্র শীত ও আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী উত্তরের জেলা পঞ্চগড় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।