ধর্ম

কোন ৩ ব্যক্তির ধ্বংস চাইলেন জিবরাইল, নবীজি বললেন আমিন

মানুষের অন্তর গুনাহপ্রবণ। জেনে বা না-জেনে মানুষ গুনাহ করে। তাওবা-ইস্তেগফার করলে আবার সেই গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমাও করে দেন। কিন্তু যেসব বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়েছে, স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রতি চরম অবহেলা বা অবজ্ঞা মহান আল্লাহর খুব অপছন্দ। আর আল্লাহ তাআলার অপছন্দ হওয়ার কারণে ফেরেশতাদেরও তা অপছন্দ। নবী-রাসুলদের অপছন্দ। আসমান-জমিনের অধিবাসীদেরও তা অপছন্দ।

সেরকমই তিন মারাত্মক পাপীর ধ্বংস চেয়ে একদিন জিবরাইল (আ.) দোয়া করেছেন। সেই দোয়ায় তিন বার আমিন বলেছেন রাসুলুল্লাহ (স.)। আসুন হাদিস থেকে জেনে নিই সেই অপরাধগুলো কী।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) মিম্বরে উঠলেন এবং বলেন—আমিন, আমিন, আমিন। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মিম্বরে উঠছিলেন এবং বলছিলেন, আমিন, আমিন, আমিন।

তিনি (স.) বললেন, নিশ্চয়ই জিবরাইল আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বললেন, যে রমজান পেল অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না, সে জাহান্নামে যাবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন—বলুন আমিন। আমি বললাম আমিন।
যে তার মা-বাবা উভয়কে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল অথচ তাদের মাধ্যমে সে পুণ্যের অধিকারী হতে পারল না এবং সে মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন—বলুন আমিন। আমি বললাম আমিন।
যার কাছে আপনার নাম উচ্চারিত হলো অথচ সে আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করল না এবং মারা গেল, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহ তাকে দূরে সরিয়ে দেবেন—বলুন আমিন। আমি বললাম আমিন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৮৮)

এ হাদিস থেকে বুঝা গেলো- রমজান মাস, রমজানের রোজা ও ইবাদত অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ। তাই রমজানে অবহেলা কাম্য নয়। দ্বিতীয়ত যখনই নবীজির (স.) নাম শোনা যাবে তখনই তাঁর ওপর দরুদ পড়তে হবে। তবে ওলামায়ে কেরাম বলেন, এক বৈঠকে শুধু একবার বলা ওয়াজিব।

তৃতীয়ত, দুনিয়াতে পিতামাতা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিতামাতার খেদমত করে না, তাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে ধ্বংস। আর সে সংবাদ শুনে প্রিয়নবী তা কবুলের জন্য আমিন বলেছেন। যে বদ দোয়ায় নবীজি আমিন বলেছেন তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে; নয়তো ধ্বংস অনিবার্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের হেদায়াত করুন। উল্লেখিত ধ্বংসাত্মক অপরাধ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *