০৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পালানোর সময় বিমানবন্দরে ধরা পড়লেন শাহীন

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহীন আলমকে বিদেশ পালানোর সময় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

শাহীন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত বলেন, শাহীন গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিষয়ে ইমিগ্রেশনে আগেই চিঠি দেওয়া ছিল। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। আন্দোলনে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হামলা করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার শিক্ষার্থী নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হন। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। সেদিনের ঘটনার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাহীনকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ট্যাগ

পালানোর সময় বিমানবন্দরে ধরা পড়লেন শাহীন

আপডেট সময়ঃ ১০:১১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহীন আলমকে বিদেশ পালানোর সময় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

শাহীন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত বলেন, শাহীন গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিষয়ে ইমিগ্রেশনে আগেই চিঠি দেওয়া ছিল। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। আন্দোলনে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হামলা করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার শিক্ষার্থী নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হন। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। সেদিনের ঘটনার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাহীনকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।