এবার নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি শনাক্ত বাংলাদেশ লাগোয়া কলকাতাতেও
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পাঁচ বছরের মাথায় এইচএমপিভি নামের আরেকটি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। চীনে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি মহামারির রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে এটি জাপান, মালয়েশিয়ার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। বেঙ্গালুরু ও গুজরাটের পর এবার বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেও ভাইরাসটি সন্ধান পাওয়া গেছে । সেখানে পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে শিশুটি সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের এক খবরে বলা হয়, কলকাতায় পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে এইচএমপিভি ভাইরাসের হদিস মিলেছে। তবে সুস্থ হয়ে ওই শিশু বাড়ি ফিরে গিয়েছে। কর্নাটকের দুই শিশু এবং গুজরাতের এক শিশুর দেহেও এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে।
খবরে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বাই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুর ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালেই বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে এইচএমপিভির সংক্রমণের খবর মিলেছে। প্রথমে আট মাসের এক শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে তিন মাসের আর একটি শিশুর শরীরেও ভাইরাসের হদিস পাওয়া যায়। পরে অহমদাবাদের দুই মাস বয়সি এক শিশুর শরীরেও মেলে একই ভাইরাস। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায়। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনো যোগসূত্র নেই। কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, ইচএমপিভি আক্রান্ত দুই শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের মধ্যে তিন মাসের শিশুটিকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য জনও সেরে ওঠার মুখে।
সম্প্রতি চীনে এইচএমপিভির একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে অন্যান্য দেশে। আতঙ্ক রয়েছে বাংলাদেশেও। প্রতিবেশী দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো সতর্কতার কথা বলা হয়নি।