বিনোদন

দুঃখিত ডালিম সাহেব, পাকিস্তান ভালোবাসি না: প্রিন্স মাহমুদ

সামাজিক মাধ্যম সয়লাব মেজর ডালিমের বক্তব্য। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা ডালিম ইউটিউবে লাইভে আসেন গতকাল রোববার রাতে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুর কথা বলেন তিনি। তার কথায় উঠে আসে শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, ভারত পাকিস্তান। তবে তা ভালোভাবে নেননি জনপ্রিয় সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ।

নিজের ফেসবুকে আজ সোমবার প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘দুঃখিত ডালিম সাহেব, প্রভুত্ব ফলাতে চায় বলে ভারতের ওপর রাগ আছে কিন্তু পাকিস্তান ভালোবাসি না। এই জন্মে না…’
প্রিন্সের সে পোস্টের মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ ডালিমের সরাসরি পক্ষ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সুরকারকে। আবার কেউ প্রিন্স মাহমুদকে সমর্থন করেছেন।

ওই লাইভে ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে ডালিম বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। নিজের বাদ্য নিজে বাজানো যায় না। প্রথম কথা, ১৫ই আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটার সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা কাদের ইন্টারেস্টে হচ্ছে? এটা কি আমাদের ইন্টারেস্টের জন্য হচ্ছে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করবো। নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করবো।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, যখন সাতদফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব।

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।’
মেজর ডালিম বলেন, ‘মুজিব তো মারা যায়নি, মুজিব একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থান তো আর আর খালি হাতে মার্বেল খেলা না। ওখানে দুই পক্ষ থেকেই গোলাগুলি হয় এবং হতাহত হয় দুইপক্ষেই। যেমন মুজিবের পক্ষের কিছু লোক মারা গেল সেভাবে সেনাঅভ্যুত্থানকারী বিপ্লবীদের পক্ষ থেকেও কিছু লোক প্রাণ হারায়। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বিপ্লবীরা বিজয়ী হয়ে গেল, তারা ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিলো।’

ওই লাইভে ২৪ এর বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যেও কথা বলেন মেজর ডালিম। তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের বিল্পবীদের, ছাত্র-জনতার বিপ্লবী কর্মকর্ড যদি কোনো রকম অবদান রাখতে পারি, আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, যোগাযোগ থেকে…তাহলে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত। পিছপা হবো না, ইনশাআল্লাহ। আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা, সালাম এবং বিপ্লবী সালাম, সাথে মন থেকে দোয়া করছি তাদের বিপ্লব যাতে ব্যর্থ না হয়। তারা যাতে বিজয় অর্জন করে সুখী সমৃদ্ধ শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলো তাদের দুর্জ্যেয় ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *