০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসান নাসরুল্লাহর দাফন কবে, জানালো হিজবুল্লাহ

 

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সাবেক মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে দাফন করার সময় এবং স্থান সম্পর্কে আনুমানিক সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কমিউনিকেশন এবং কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রধান রোববার এ ঘোষণা দেন। খবর মেহের নিউজের।

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়াফিক সাফা বলেছেন, হিজবুল্লাহর প্রয়াত সেক্রেটারি জেনারেল সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর দাফন অনুষ্ঠান চলমান ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষেই আয়োজিত হবে। লেবাবন সরকারের আহ্বানে ও মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চলছে।

গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেই অনুযায়ী, আগামী ২৫ জানুয়ারি শেষ হবে ৬০ দিনের এই যুদ্ধবিরতি।

হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের স্থানটি পরিদর্শন করার সময় ওয়াফিক সাফা রোববার যখন এই ঘোষণা দেন, বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে তাকে হত্যা করেছিল।

বৈরুতের দাহিয়া উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে সাফা নিশ্চিত করেন যে, নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হাসেম সাফিয়েদ্দিনের দাফনের জন্যও প্রস্তুতি চলছে, যাকে কয়েক দিন পরই হত্যা করা হয়েছিল।

ওয়াফিক সাফা এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যেকোনো আগ্রাসনের মুখে যেভাবে প্রয়োজন মনে করবে, সেভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। দখলদার ইসরায়েলি সরকার ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নাসরুল্লাহকে দাহিয়া উপকণ্ঠের ভূগর্ভে অবস্থিত কার্যালয়ে থাকা অবস্থায় মার্কিন ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ভারী বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করে। তার পর হাসেম সাফিয়েদ্দিনকেও হত্যা করা হয়।

বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিরতি চলছে, নভেম্বরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েল এবং লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৩ মাসের সংঘর্ষ শেষ করতে করা হয়েছিল। যদিও ৪০ দিনের মধ্যেই ইসরায়েল ৩৭৯ বার ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এইসব যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় লেবাননের অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী ইউনিফিল ঘোষণা করেছে যে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ইসরায়েলি সেনারা বুলডোজার দিয়ে সেদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘আল-লাবুন’ সীমান্ত এলাকায় লেবাননের সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটি ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইউনিফিল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিসংঘের বাহিনী এবং লেবাননের সেনাবাহিনীর স্থাপনা ধ্বংস করেছে, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন।

ট্যাগ

হাসান নাসরুল্লাহর দাফন কবে, জানালো হিজবুল্লাহ

আপডেট সময়ঃ ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সাবেক মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে দাফন করার সময় এবং স্থান সম্পর্কে আনুমানিক সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কমিউনিকেশন এবং কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রধান রোববার এ ঘোষণা দেন। খবর মেহের নিউজের।

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়াফিক সাফা বলেছেন, হিজবুল্লাহর প্রয়াত সেক্রেটারি জেনারেল সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর দাফন অনুষ্ঠান চলমান ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষেই আয়োজিত হবে। লেবাবন সরকারের আহ্বানে ও মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চলছে।

গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। সেই অনুযায়ী, আগামী ২৫ জানুয়ারি শেষ হবে ৬০ দিনের এই যুদ্ধবিরতি।

হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের স্থানটি পরিদর্শন করার সময় ওয়াফিক সাফা রোববার যখন এই ঘোষণা দেন, বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে তাকে হত্যা করেছিল।

বৈরুতের দাহিয়া উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে সাফা নিশ্চিত করেন যে, নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হাসেম সাফিয়েদ্দিনের দাফনের জন্যও প্রস্তুতি চলছে, যাকে কয়েক দিন পরই হত্যা করা হয়েছিল।

ওয়াফিক সাফা এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যেকোনো আগ্রাসনের মুখে যেভাবে প্রয়োজন মনে করবে, সেভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। দখলদার ইসরায়েলি সরকার ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নাসরুল্লাহকে দাহিয়া উপকণ্ঠের ভূগর্ভে অবস্থিত কার্যালয়ে থাকা অবস্থায় মার্কিন ২ হাজার পাউন্ড ওজনের ভারী বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করে। তার পর হাসেম সাফিয়েদ্দিনকেও হত্যা করা হয়।

বর্তমানে দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিরতি চলছে, নভেম্বরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হয়। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েল এবং লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৩ মাসের সংঘর্ষ শেষ করতে করা হয়েছিল। যদিও ৪০ দিনের মধ্যেই ইসরায়েল ৩৭৯ বার ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এইসব যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় লেবাননের অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী ইউনিফিল ঘোষণা করেছে যে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ইসরায়েলি সেনারা বুলডোজার দিয়ে সেদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘আল-লাবুন’ সীমান্ত এলাকায় লেবাননের সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ টাওয়ারটি ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইউনিফিল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিসংঘের বাহিনী এবং লেবাননের সেনাবাহিনীর স্থাপনা ধ্বংস করেছে, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন।