জাতীয়

টাকার জন্য মাকে কোপাল ছেলে

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ছেলে রাসেল হাওলাদার ও তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে (৫০) টাকা জন্য কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Play Video

গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। আহত মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

Play Video

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ডাসার থানায় বুধবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ছোট বনগ্রাম এলাকার রাসেল হাওলাদার(৩২), রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী পলি বেগম (২৬), দুলাল হাওলাদারের (৫০) স্ত্রী কানকলি (৪৫)।

Play Video

ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রাসেলের বাবা মৃত্যুর আগে ১০ লাখ টাকা রাসেলের মা আনোয়ারা বেগমের কাছে রেখে গেছেন এমন দাবি করেন রাসেল। সেই টাকার ভাগ তিনি মায়ের কাছে। তব আনোয়ারার দাবি, তার স্বামী কোনো টাকা পয়সা রেখে যাননি। একথা রাসেলকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে রাসেল ও তার স্ত্রী পলি বেগম মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আনোয়ারা বেগমের মেজ ছেলে নাসির হাওলাদার মাকে রক্ষা করতে এলে তাকেও তারা মারধর করা হয়। নাসির স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

Play Video

আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে রাসেল ও তার বউ পলি বেগম আমাকে এর আগে অনেক কয়েকবার মারধর করেছে। সে কোথায় কি জানি শুনে এসেছে, যে তার বাবা মৃত্যুর আগে তার বাবা না কি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা রেখে গেছে। তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে টাকা রেখে যাওয়া তো দূরের কথা উল্টো অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল। একথা আমি আমার ছেলেকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার কথা শোনেনি। টাকার জন্য আমার ছেলে আমাকে দা দিয়ে কোপ মেরে মাথা ফাটিয়েছে। তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে আমার মাথার চুল ধরে টানা হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি লাথি ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। তারপরে আমার ছেলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আমি আমার ছেলের এবং তার সহযোগীদের বিচার চাই।’

Play Video

ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, সামান্য টাকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেভাবে কুপিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছে। যেই মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করছে কত কষ্ট করছে এই মাকে এভাবে মারছে আমি আমার ভাই এবং তার স্ত্রী ও তাদের সহযোগীদের বিচারের দাবি জানাই।

Play Video

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, বিষয়টি একেবারে দুঃখজনক। ছেলে তার মায়ের সাথে এরকম করতে পারে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button