এটা যতটা সহজ মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। প্রতিদিন কিছু বাদাম খেলে আমাদের শরীর এমন এক অসাধারণ কাজ করতে পারে—ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষ চিহ্নিত করে ধ্বংস করা। প্রথমবারের মতো এই ধরনের মানব পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বাদাম যোগ করেছেন, তাদের শরীরে ক্যান্সার কোষ ধ্বংসের সঙ্গে সম্পর্কিত পথগুলো সক্রিয় হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩, পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো যৌগগুলো স্তনকোষে জিনের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে এমন পরিবেশ তৈরি হয় যা টিউমারের বৃদ্ধি বাধা দেয় এবং কোষের স্ব-ধ্বংস প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। অর্থাৎ, শরীর নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ চিহ্নিত করে তা বৃদ্ধি পেতে দেওয়ার আগে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়।
বাদামের শক্তি শুধু পুষ্টিগুণেই সীমাবদ্ধ নয়; এদের যৌগিক মিলনে রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা। একসাথে, এদের যৌগগুলো প্রদাহ কমায়, হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে—যা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা জানতেন খাদ্য আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই পরীক্ষা দেখিয়েছে যে প্রতিদিনের সাধারণ খাবারও লক্ষ্যভিত্তিক সুরক্ষার শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।
যদিও কোনো খাবার চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না, তবে গবেষণার ফলাফল দেখাচ্ছে, ভবিষ্যতে প্রতিরোধ শুরু হতে পারে রান্নাঘর থেকেই। সাধারণ মনে হওয়া একটি নাস্তা, কখনও কখনও অসাধারণ প্রতিরক্ষার চাবিকাঠি হতে পারে।
তাহলে পরবর্তীবার যখন নাস্তা খেতে বসবেন, মনে রাখবেন—প্রকৃতি প্রায়শই তার বিস্ময়গুলো সাধারণ জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
স্টাফ রিপোর্টার 





















