সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো নিচে দেওয়া হলো-
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরাসরি অংশগ্রহণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে জানিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নেপ ও এনসিটিবি কর্তৃক ২০২২ সালের জন্য প্রণীত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা (জানুয়ারি-এপ্রিল) ইতোমধ্যে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনুমোদিত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইনে গুগল মিটে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিও থেকে পরিচালিত ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অনলাইন ক্লাসের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে চলমান ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠ সম্প্রচারের সময়টুকু বাদ দিয়ে অনলাইন পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধকালীন প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এসএমসির সদস্যদের সহযোগিতা নেবেন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার সব শিক্ষার্থীকে শ্রেণিশিক্ষক ও বিষয়শিক্ষক প্রতি ভাগ করে দেবেন বা নেবেন। শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও ব্যক্তিগতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে শিক্ষার্থীদের পাঠ অগ্রগতির খোঁজ-খবর নেবেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি ও অন্য বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণ করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।